কলকাতা: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কি আদৌ পাক চর রয়েছে? তা নিয়ে সিবিআইকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার সিবিআইয়ের তরফে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে অনুসন্ধান রিপোর্ট জমা দেয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতে জানিয়েছে, সেনাবাহিনীতে জাল নথি দিয়ে নিয়োগের বিষয়ে কোনও তথ্য এখনও তাদের হাতে আসেনি। তবে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীতে সন্দেহজনক কিছু নিয়োগের হদিশ গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে বলে এদিন আদালতে জানানো হয়। সেই ঘটনায় এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআইকে এফআইআর দায়ের করারও অনুমতি দিয়েছে আদালত। আগামী ২ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় বাহিনীতে পাক গুপ্তচর থাকার সন্দেহ প্রথম প্রকাশ্যে এসেছিল গত মাসে। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিষ্ণু চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ ছিল, ব্যারাকপুরের সেনা ছাউনিতে দুই পাকিস্তানি নাগরিক কাজ করছেন। মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, এই বেনিয়মের সঙ্গে রাজ্যের পুলিশ, ভিন রাজ্যের পুলিশ, বাহিনীর পদস্থ অফিসাররা এমনকী প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও যুক্ত ছিলেন।
সেই অভিযোগ হাইকোর্টে উঠতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল চারিদিকে। সেই নিয়ে প্রথমে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা উঠেছিল। পরে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে যায়। মামলায় প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর সিবিআই এফআইআর দায়েরের অনুমতি চেয়েছিল। সোমবার সেই অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।
তবে প্রাথমিক অনুসন্ধান রিপোর্টে সিবিআই জানিয়েছে, সেনা বাহিনীতে এমন ভুয়ো নথি দিয়ে নিয়োগের কোনও তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে আসেনি। তবে আধাসামরিক বাহিনীতে এমন কিছু নিয়োগের হদিশ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা পেয়েছেন বলে আদালতে দাবি করা হচ্ছে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত গোটা ঘটনা সিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।