কলকাতা : যদি কোনও পড়ুয়া স্কুল ফি (School Fees) নাও দিতে পারে, তাহলেও তার পড়াশোনা বন্ধ করা যাবে না। স্কুল ফি সংক্রান্ত মামলায় আদালতের পুরানো নির্দেশ মনে করিয়ে দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়। বেতন বাকি থাকলেও পড়াশোনা বন্ধ করা যাবে না পড়ুয়াদের। স্কুল কর্তৃপক্ষকে এ ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের অ্যাডমিট কার্ড দিতে হবে এবং পরীক্ষাতেও বসতে দিতে হবে।
উল্লেখ্য এর আগেও বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলা উঠেছিল। সেই সময়েই কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, বেসরকারি স্কুলের ফি নিয়ে যতই বিতর্ক থাকুক কোনও পড়ুয়াকে স্কুল থেকে বিতাড়িত করা যাবে না। একইসঙ্গে পরীক্ষায় বসার সুযোগও দিতে হবে। পড়ুয়াদের ন্যুনতম অধিকারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। আজ সেই আগের নির্দেশই পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিলেন বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়।
স্কুল ফি সংক্রান্ত মামলায় আদালত জানিয়েছিল, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে যে পড়ুয়াদের বয়েকা ফি রয়েছে, তার ৫০ শতাংশ অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে হবে অভিভাবকদের। তবে আদালতের কঠোর নির্দেশ দিল, যে সকল পরিষেবা লকডাউন চলাকালীন স্কুল দিতে পারেনি, সেই সংক্রান্ত কোনও ফি-ও নেওয়া যাবে না।
হাইকোর্টের বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছিল, কোভিড পরিস্থিতি হলেও সরকারি চাকুরে যারা এবং যাদের সামর্থ্য আছে তাঁদের বেতন মিটিয়ে দেওয়া উচিত। সব পক্ষ তাদের হলফনামা জমা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল।
এদিকে অক্টোবর মাসের শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট ভাগে ভাগে ১০০% স্কুল ফি মিটিয়ে দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছিল অভিভাবকদের। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে অভিভাবকরা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। মামলাটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। আগামী সোমবার মামলাটির শুনানি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শীর্ষ আদালত কি নির্দেশ দেয়, তার জন্য আপাতত এই মামলার শুনানি স্থগিত রাখার আবেদন করা হয়। ১৭ ডিসেম্বর মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়েছে। কিন্তু স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে কোনও কোনও পড়ুয়া স্কুল ফি নাও দিতে পারে, তাহলেও তার পড়াশোনা বন্ধ করা যাবে না। তাকে স্কুল থেকে বহিস্কার করা যাবে না।
উল্লেখ্য, এর আগে অক্টোবর মাসে হাই কোর্টে এই স্কুল ফি সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় অভিভাবকেরা জানিয়েছিলেন, কারও কারও হাফ ইয়ার্লি পরীক্ষাও আটকে দেওয়া হয়েছে। এ কথা শুনে বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন, সব পড়ুয়াকে পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে। অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা যাবে না। অবিলম্বে স্কুলগুলিকে তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিতে হবে বলে জানিয়েছিল আদালত।
আরও পড়ুন : Kolkata Metro: মেট্রো সফর এখন আরও নির্ঝঞ্ঝাট, মোবাইলেই পেয়ে যান কিউআর কোড