Calcutta High Court: সিলিকোসিস নিয়ে পলিসি আছে, প্রয়োগ নেই, আদালতে মেনে নিল রাজ্য
Silicosis Treatment: রাজ্য সরকার পলিসি নতুন করে আনার জন্য কী পদক্ষেপ করছে, তাও জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ মে মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
কলকাতা: রাজ্যে সিলিকোসিস আক্রান্তদের (Silicosis Treatment) চিকিৎসার জন্য কী ব্যবস্থা রয়েছে? এই রোগ আটকানোর জন্যই বা কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? এবার তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রসঙ্গত, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেছিল। মামলার মূল অভিযোগ ছিল, যাঁরা সিলিকোসিস রোগে আক্রান্ত, তাঁদের প্রতি রাজ্য উদাসীন। সেই সংক্রান্ত মামলায় এবার রাজ্যের সিলিকোসিস চিকিৎসা এবং রোগ আটকানোর জন্য রাজ্যের পদক্ষেপের বিষয়ে জানতেই চাইলেন হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। কীভাবে এদের চিকিৎসা করা হয় এবং এই অসুখ কীভাবে বন্ধ করা যায়, তা আদালতকে জানাতে হবে। রাজ্য সরকার পলিসি নতুন করে আনার জন্য কী পদক্ষেপ করছে, তাও জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ মে মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
উল্লেখ্য, এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। হাইকোর্টে তিনি জানান, সিলিকোসিসের জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। তবে রাজ্যের সিলিকোসিস পলিসি থাকলেও তার যে প্রয়োগ সেই অর্থে নেই, তাও জানিয়েছেন এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। কতজন রোগী এই সিলিকোসিসে আক্রান্ত তাও জানানো হয় আদালতে। মূলত নিঃশ্বাসের মাধ্যমেই এই রোগ শরীরে ঢোকে। যাঁরা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে, পাথর কাটার কাজ করেন, বা সিমেন্টের কারখানায় কাজ করেন, সেখানে ফ্লাই অ্যাশ থেকে এটি হয়। রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, ঝাড়খণ্ডেও একই সমস্যা রয়েছে। বিভিন্ন খনির শ্রমিকরা এই রোগে আক্রান্ত সে রাজ্যেও।
প্রসঙ্গত, মামলাকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান এবং দুই ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। কারখানায় কাজ করতে গিয়ে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটা নিরাময় যোগ্য নয়। রাজ্য সরকার এই রোগের বিষয়ে উদাসীন বলে অভিযোগ মামলাকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার।
দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রাজ্যকে এই বিষয়ে একটি এসওপি নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত বলে মত হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের। কীভাবে এদের চিকিৎসা এবং এই অসুখ কীভাবে বন্ধ করা যায়, তা আদালতকে জানাতে হবে। পাশাপাশি রাজ্য পলিসি নতুন করে আনার জন্য কী পদক্ষেপ করছে, তা জানাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।