Calcutta High Court: ‘মৃত প্যানেলকে ইঞ্জেকশন দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা’, অতিরিক্ত শূন্যপদ বাতিল করলেন বিচারপতি বসু
Kolkata: এখানে উল্লেখ্য, কর্মশিক্ষার জন্য ৭৫০ টি এবং শারীরশিক্ষার জন্য ৮৫০ টি অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়। এরপর দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

কলকাতা: রাজ্যের তৈরি অতিরিক্ত শূন্যপদ বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উচ্চ প্রাথমিকে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে তার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য। ২০২২ সালে কর্মশিক্ষা এবং শারীরশিক্ষার অতিরিক্ত ১৬০০ শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল। এবার সেইটাই বাতিল করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এখানে উল্লেখ্য, গতকাল অর্থাৎ বুধবারই বড় স্বস্তি পেয়েছিল রাজ্যে। প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বহাল রেখেছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তারপর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না, এবার অন্য একটি মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চে ধাক্কা খেল রাজ্য।
এ দিন, শুনানির সময় আদালত বলে, ‘ওই পদে কোনও নিয়োগ নয়‘। ২০১৯ সালে প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর তৈরি করা হয়েছে এই অতিরিক্ত শূন্যপদ। সেই কারণে এই পদগুলি বৈধ নয় বলেও পর্যবেক্ষণ আদালতের। বিচারপতি বলেন, “মৃত প্যানেলকে ইঞ্জেকশন দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে।”
আদালতের বক্তব্য, অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ করতে হলে, নতুন করে শূন্যপদ ঘোষণা করতে হয়। তারপর ফের নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাতে হয়। রাজ্য যদি তার বিশেষ ক্ষমতা (এক্সিকিউটিভ পাওয়ার) ইচ্ছে মতো ব্যবহার করে, তাহলে আদালত সেটা খতিয়ে দেখতেই পারে। কারও অধিকার খর্ব করার জন্য রাজ্য তার বিশেষ পাওয়ার ব্যবহার করতে পারে না।
এখানে উল্লেখ্য, আপার প্রাইমারিতে কর্মশিক্ষার জন্য ৭৫০ টি এবং শারীরশিক্ষার জন্য ৮৫০ টি অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয় রাজ্যের তরফে। এরপর ২০২২ সালের ১৯ মে এবং ১৪ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়। এরপর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে সেই নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এমনকী, বিজ্ঞপ্তিও খারিজ হয়। আজ সেই মামলাতেই এই রায় দেন বিচারপতি।
আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “একটা মৃত প্যানেলে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে ওদের প্রিয় ক্যান্ডিডেটকে চাকরি দেওয়ার জন্য বন্দ্যোবস্ত করেছিল। এই পোস্ট তৈরি করে তার রেকমেনডেশনও দিয়েছিল। প্যানেলের মেয়াদ এক বছর। মেয়াদ শেষের পরও পদ তৈরি করে আবার প্যানেলকে বাঁচিয়ে তাঁদের আবার চাকরি দেওয়া আইন সঙ্গত নয়। তাই বিচারপতি খারিজ করে দিয়েছেন। রাজ্য যে সিদ্ধান্ত নেবে তা সংবিধান সম্মত হতে হয়। এটা সংবিধান সম্মত নয়।”
বিস্তারিত আসছে…
