Calcutta High Court: ‘এ যেন উঠল বাই তো মক্কা যাই…’, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সওয়াল ধোপে টিকল না, বড়দিনেও চলবে আন্দোলন

Calcutta High Court: সুপ্রিম কোর্ট মামলার নজরদারি করছে। এই অবস্থায় এভাবে ধরনা দেওয়া যায় কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, প্রতিটি উৎসবের সময় এই ধরনের কর্মসূচি করা হচ্ছে। এটা বড়দিনের সময়।

Calcutta High Court: 'এ যেন উঠল বাই তো মক্কা যাই...', কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সওয়াল ধোপে টিকল না,  বড়দিনেও চলবে আন্দোলন
Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 23, 2024 | 4:29 PM

কলকাতা: সিঙ্গল বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও হার রাজ্যের। চিকিৎসকদের অবস্থান বিক্ষোভ নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কর্মসূচি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। চিকিৎসকদের আবেদন অনুযায়ী ১০০ জন চিকিৎসক অবস্থান স্থলে থাকতে পারবে।

আরজি কর খুন-ধর্ষণ মামলায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ জামিন পেয়ে যাওয়ার পর নতুন করে আন্দোলনে পথে নেমেছেন চিকিৎসকরা। প্রথমে ধরনার অনুমতি না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চিকিৎসকরা। আদালত অনুমতি দিয়েছে। ২৫ ডিসেম্বর অবস্থান বন্ধ রাখা সম্ভব কি না, তা আদালতে জানাবে চিকিৎসক সংগঠন। ধর্মতলায় চিকিৎসকদের অবস্থান-বিক্ষোভের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।

আগামী ২৪ এবং ২৫ ডিসেম্বর কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দিক আদালত। তার পরিবর্তে ২৭ এবং ২৮ ডিসেম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হোক। এমনটাই আবেদন জানায় রাজ্য। রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেন অনুমতি দেওয়া হল তার স্বপক্ষে কোনও যুক্তি দেননি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এই ধরনের অন্তর্বর্তী নির্দেশের ফলে মামলাকারীরা চূড়ান্ত পর্যায়ের দাবি আদায়ে সক্ষম হয়েছে বলেও সওয়াল করেন তিনি।’ আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘সিবিআই চার্জশিট দিতে পারেনি। সিবিআই যদি সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জশিট না দেয় তাহলে ডোরিনা ক্রসিংয়ে কেন? সিবিআই অফিসে যাক, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করুক। এ যেন উঠল বাই তো মক্কা যাই।’

সুপ্রিম কোর্ট মামলার নজরদারি করছে। এই অবস্থায় এভাবে ধরনা দেওয়া যায় কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, প্রতিটি উৎসবের সময় এই ধরনের কর্মসূচি করা হচ্ছে। এটা বড়দিনের সময়। তিনি আরও দাবি করেন, প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পাওয়া যাচ্ছে না, শেষ লগ্নে পুলিশকে নোটিস দেওয়া হচ্ছে।

এই কর্মসূচির ফলে যানজট হচ্ছে বলে দাবি করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওয়াই চ্যানেল কেন নয়? কেন মেট্রো চ্যানেল? শুধু মামলাকারীদের মৌলিক অধিকার বিচার করলে হবে? রাজ্যকে তো অন্যদের মৌলিক অধিকারের কথাও ভেবে দেখতে হবে।’

যদি কর্মসূচিতে লোক আসে, তাহলে রাজ্যের অসুবিধা কোথায়? জানতে চান আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি উল্লেখ করেন, আদালতের নির্দেশে গার্ড রেল দেওয়া আছে। সবাই গার্ড রেলের মধ্যেই আছে। পথচারীদের কোনও অসুবিধা বা যানজট হচ্ছে না। আন্দোলনকারীদের দাবি, রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হলে রাজ্য এই প্রশ্ন তোলে না। আর তাছাড়া বড়দিনে মানুষ কখনই ডোরিনা ক্রসিংয়ের দিকে যায় না বলেও দাবি করেন তিনি।