Madhyamik 2022: বড় খবর! মাধ্যমিক সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে আদালতে ধাক্কা রাজ্যের! বাতিল নির্দেশ

Madhyamik Examination 2022: আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফে আলাদা করে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।

Madhyamik 2022: বড় খবর! মাধ্যমিক সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে আদালতে ধাক্কা রাজ্যের! বাতিল নির্দেশ
মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 10, 2022 | 6:15 PM

কলকাতা: রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মাধ্যমিক চলাকালীন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা যাবে না। দরকারে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশ দিল আদালত। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফে আলাদা করে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে ১৪৪ ধারা জারির বিজ্ঞপ্তির সঙ্গেই জুড়ে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার বিষয়টিও। গোয়েন্দা রিপোর্ট দেখিয়ে এভাবে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার যুক্তিতে খুশি নয় আদালত।

মাধ্যমিক চলাকালীন একাধিক জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য। গত ৩ মার্চ এই সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা দায়ের হয় আদালতে। মামলাকারীর বক্তব্য, বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পরীক্ষার দিনগুলি বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ রাখার কথা বলা হয় রাজ্যের ৮টি জেলায়। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে অনেক জরুরি পরিষেবা ব্যহত হবে বলে দাবি করেন মামলাকারী। একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন ১৪৪ ধারা জারি নিয়েও। মামলাকারীর যুক্তি, ১৪৪ ধারা শুধুমাত্র সাধারণের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে তা ব্যবহারের কারণ কী? বরং ফোন নিয়ে পরীক্ষা হলে যাওয়া বন্ধ হোক। পরীক্ষার জন্য সাধারন মানুষ কেন ভোগান্তিতে পোহাবেন, আদালতে এদিন প্রশ্ন তোলেন মামলাকারী।

মামলাকারীর বক্তব্য, আইন অনুযায়ী ১৪৪ ধারা ‘পাবলিক সেফটি’ বা জনসাধারণের নিরাপত্তা, ‘পাবলিক এমার্জেন্সি’র ক্ষেত্রে জারি করা হয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে এভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যহত রাখার কারণ স্পষ্ট নয়। মামলাকারীর এই বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয় আদালত। নির্দেশ দেওয়া হয়, ৩ মার্চ নবান্ন যে নির্দেশিকা জারি করেছিল তা খারিজ করা হল। অর্থাৎ শুক্রবারের পরীক্ষা চলাকালীন কোনওভাবেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকছে না। রাজ্যের পক্ষ থেকে এদিন এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, মোবাইল ফোন বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। দেখা যাচ্ছে বাইরে থেকে সেটি পৌঁছে যাচ্ছে। রিভিউ কমিটিতে অভিজ্ঞ অফিসার আছেন। তাঁরা সব নজরে রেখেছেন।

নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, বীরভূম ও দার্জিলিঙের পরীক্ষাকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকাগুলিতে বন্ধ থাকবে মোবাইলের ইন্টারনেট পরিষেবা। ৭, ৮, ৯, ১১, ১২, ১৪, ১৫ ও ১৬ মার্চ নেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। মামলাকারীর বক্তব্য ইন্টারনেট বন্ধ করা মানে মানুষের বাক স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করা। এরপরেই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ ১৪৪ ধারা জারি করার বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেন। তবে রাজ্য চাইলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার জন্য নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: মমতার বিমানে কী হয়েছিল সেদিন, প্রকৃত তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের