AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Calcutta High Court: বড় ধাক্কা রাজ্যের, ভাতা দেওয়া যাবে না, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

Calcutta High Court: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের SSC প্যানেলের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি যায়। পরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদন মেনে 'যোগ্য' শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত চাকরি করার অনুমতি দেয় শীর্ষ আদালত। তবে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীরা স্কুলে যোগ দিতে পারবেন না।

Calcutta High Court: বড় ধাক্কা রাজ্যের, ভাতা দেওয়া যাবে না, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2025 | 12:33 PM
Share

কলকাতা: চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। চাকরিহারা গ্রুপ সি ও ডি -এর যে ভাতা নির্ধারিত হয়েছিল, তার উপর অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিলেন, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনও ভাতা দেওয়া যাবে না।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের SSC প্যানেলের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি যায়। পরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদন মেনে ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত চাকরি করার অনুমতি দেয় শীর্ষ আদালত। তবে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীরা স্কুলে যোগ দিতে পারবেন না। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর রাজ্য সিদ্ধান্ত নেয়, চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়া হবে। চাকরিহারা গ্রুপ সি কর্মীদের মাসে ২৫ হাজার টাকা ও গ্রুপ ডি কর্মীদের মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন তুলেছিলেন, যাঁরা এই টাকা পাবেন তাঁদের থেকে রাজ্য প্রতিদানে কী পাবে? তিনি বলেন, “তাঁরা ঘরে বসে থাকবেন আর টাকা পাবেন? সুপ্রিম কোর্টে একটার পর একটা রিভিউ পিটিশন হতে থাকবে আর এরা টাকা পেতে থাকবেন?”

শুক্রবার এই মামলার রায় দিলেন বিচারপতি সিনহা। রাজ্যের নির্দেশিকা খারিজ করলেন বিচারপতি। নির্দেশ দিলেন, ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনও ভাতা দিতে পারবে না রাজ্য। হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের পর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, প্যানেলের মেয়াদ শেষে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, চাইলে সিবিআই তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, আরও অনেকের নাম বেরিয়ে আসতে পারে। তাই মুখ বন্ধ করার জন্য ঘুরপথে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এটা পিঠ বাঁচানোর স্কিম ছিল।” যাঁরা বঞ্চিত, রাস্তায় বসে রয়েছেন, তাঁরা কেন ভাতা পাবেন না, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।