Calcutta High Court: ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, কোন রাষ্ট্র অন্যায়কারীদের সহায়তা করতে পারে না’, চিহ্নিত অযোগ্যদের হয়ে সওয়াল করে ভর্ৎসনার মুখে কমিশন-রাজ্য
Calcutta High Court: কমিশনের যুক্তি ছিল, ‘চিহ্নিত অযোগ্যরা’ নিয়োগে সুযোগ না পেলে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে। একই দোষে কীভাবে দু'বার শাস্তি? সওয়াল করেছিল কমিশন। এসএসসি-র পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় দাবি করেন, এ ক্ষেত্রে সুযোগ না দেওয়া হলে অযোগ্যদের মৌলিক অধিকার খর্ব হবে।

কলকাতা: ধোপে টেকেনি কমিশনের যুক্তি। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ‘চিহ্নিত অযোগ্যরা’ সুযোগ পাবেন না। বৃহস্পতিবার স্পষ্ট জানিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দে-র ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার শুনানির সময়ে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় রাজ্য-কমিশনকে।
কমিশনের যুক্তি ছিল, ‘চিহ্নিত অযোগ্যরা’ নিয়োগে সুযোগ না পেলে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে। একই দোষে কীভাবে দু’বার শাস্তি? সওয়াল করেছিল কমিশন। এসএসসি-র পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় দাবি করেন, এ ক্ষেত্রে সুযোগ না দেওয়া হলে অযোগ্যদের মৌলিক অধিকার খর্ব হবে। সুপ্রিম কোর্ট যখন একবার বেতন ফেরত দেওয়ার কথা বলেছে, তখন আবার পরীক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হলে, একই অপরাধে দ্বিতীয়বার শাস্তি দেওয়া হবে বলেও সওয়াল করেন কল্যাণ।
এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিচারপতির মন্তব্য, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বিভ্রান্তিকর যে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং রাজ্য সরকার চিহ্নিত অযোগ্যদের সমর্থন করছে। সরকারি চাকরিতে কোন প্রতারকদের উৎসাহিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক নীতি হতে পারে না।”
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যদি কেউ প্রতারণার মাধ্যমে কোনও চাকরি পান, তাহলে এই ধরনের নিয়োগ প্রতারণামূলক এবং অবৈধ বলে গণ্য হবে এবং তাঁর বেআইনি এবং অবৈধ আচরণের কারণে তৈরি হওয়া শূন্যপদ পূরণের জন্য শুরু হওয়া নির্বাচন প্রক্রিয়ায় তাঁকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া যাবে না। বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “এই ধরনের প্রতারণামূলক আচরণের কারণে নিরপরাধ প্রার্থীরা তাদের চাকরি হারিয়েছেন।”
বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “চিহ্নিত অযোগ্যদের পক্ষে কমিশন এবং রাজ্যের যুক্তি যথাযথভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। চিহ্নিত অযোগ্যরা সমগ্র নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কলঙ্কিত করেছেন’ তা ভালোভাবে জেনেও কমিশন – রাজ্যের তাদের যুক্তি সমর্থন করা উচিত হয়নি।” এই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “কোন রাষ্ট্র অন্যায়কারীদের সহায়তা করতে পারে না। সেটি ভুল বার্তা বহন করে।” এরপরই ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, কোনওভাবেই চিহ্নিত অযোগ্যরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

