AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Calcutta High Court: ‘আমার কোনও ইগো থেকে ডাকিনি…’, PF-এর কয়েক হাজার কোটি টাকার বকেয়া, আদালতে মদন যেতেই কেন বললেন বিচারপতি?

Calcutta High Court: মামলাকারীদের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিচারপতি বলেন,  "মাrসিক বেতন থেকে এই টাকা কেটে নেওয়া হয় ভবিষ্যতের জন্য।  সিএসটিসি কর্মীরা তাঁদের টাকা পাচ্ছেন না। কারও মেয়ের বিয়ে, কারও স্ত্রীর অসুখের টাকার দরকার। আমি তিন চারবার সুযোগ দিয়েছি। আপনাদের এখন ডেকেছি। কর্মীরা যেন কোনভাবেই বঞ্চিত না হন।"

Calcutta High Court: 'আমার কোনও ইগো থেকে ডাকিনি...', PF-এর কয়েক হাজার কোটি টাকার বকেয়া, আদালতে মদন যেতেই কেন বললেন বিচারপতি?
আদালতে মদন মিত্রImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 04, 2025 | 6:17 PM
Share

কলকাতা:  ক্যালকাটা স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন বা সিএসটিসির অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকা বকেয়া না মেটানোয় আদালতে হাজিরা মদন মিত্রের। আগামী চার মাসের মধ্যে পরিবহন দফতর ও অর্থ দফতর বাকি থাকা অবসরকালীন সুবিধা নিয়ে পদক্ষেপ করতে হবে। শুক্রবার এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়।

মদন-সহ একাধিক অফিসারের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্যের অর্থসচিব, সিএসটিসির চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিএসটিসির এমপ্লয়েজ প্রভিডেন্ট ফান্ড ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মদন মিত্র হাইকোর্টে হাজিরা দেন। বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “আমার কোন ইগো থেকে ডাকিনি। প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে তদন্তের জন্য ডেকেছি।”

মামলাকারীদের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিচারপতি বলেন,  “মাrসিক বেতন থেকে এই টাকা কেটে নেওয়া হয় ভবিষ্যতের জন্য।  সিএসটিসি কর্মীরা তাঁদের টাকা পাচ্ছেন না। কারও মেয়ের বিয়ে, কারও স্ত্রীর অসুখের টাকার দরকার। আমি তিন চারবার সুযোগ দিয়েছি। আপনাদের এখন ডেকেছি। কর্মীরা যেন কোনভাবেই বঞ্চিত না হন।”

রাজ্যের তরফে আইনজীবী অমিকেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যের টাকা বোর্ড এবং তারপর কর্মীরা পান। আমরা ট্রাস্টে দিতে পারি না, পরিবহন দফতরকেই দিতে হবে। আমরা টাকা ইতিমধ্যেই দিয়েছি। এবার পরিবহন দফতর কী করেছে জানি না।” ১৭ জনের টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান রাজ্যের আইনজীবী।

রাজ্যের এই বক্তব্য শোনার পরই বিচারপতি বলেন, “১৭ জন টাকা পেয়েছেন। কিন্তু ১৫০ আবেদনকারীর টাকা বাকি রয়েছে।” তারপরই বিচারপতি বলেন, ” আপনাদের ডেকে আমার কোনও আনন্দ নেই। কিন্তু বাকিদের টাকা নিয়ে আমরা ভাবছি।”

শুনানিতে ছিলেন অর্থ দফতরের প্রধান সচিব প্রভাত মিশ্র। তিনি বলেন, “আমরা পরিবহন দফতরকে দিয়েছি। এবার তারা ডে টু ডে দেখবে। ৪৫টি ট্রান্সপোর্ট দফতর দেখি। ট্রান্সপোর্ট সচিবকে চিঠি লিখেও লাভ হয়নি।”

বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় বলেন, “ধরে নিন আপনি যৌথ পরিবারে থাকেন। সেখানে আপনি কর্তা। প্রশ্ন উঠলে আপনার বিরুদ্ধেই উঠবে। আপনি লিখে জানাতে পারতেন। এদিন ফাইনান্স সেক্রেটারি।”