Calcutta High Court: ১০ বছরে কোনও অডিটই হয়নি, রোজভ্যালির আমানতকারীদের টাকা ফেরাতে গঠিত কমিটিই আতস কাচের নীচে
Calcutta High Court: এরপরেই আদালতের নজরে পড়ে, বিচারপতি শেঠ কমিটি ২০১৫ সাল থেকে এত দিনে মাত্র ১০ লক্ষ টাকা অফিস চালাতে খরচ করেছে। চেয়ারম্যানের বেতন কে দিয়েছে,ন বিচারপতির এই প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী জানান, চকোলেট গ্রুপ টাকা দিয়েছে।

কলকাতা: রোজভ্যালির আমানতকারীদের টাকা ফেরাতে গঠিত বিচারপতি দিলীপ শেঠ কমিটির কাজকর্ম নিয়ে অনুসন্ধান কমিটি বসানোর ইঙ্গিত কলকাতা হাইকোর্টের। হাইকোর্টের নির্দেশে রোজভ্যালি র ওই কমিটি মঙ্গলবার তাদের কাজকর্ম, আর্থিক হিসাব সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট দেয়। সেখানে ১০ বছরের আর্থিক হিসাবে কেন কোনও অডিট হয়নি, তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত।
এরপরেই আদালতের নজরে পড়ে, বিচারপতি শেঠ কমিটি ২০১৫ সাল থেকে এত দিনে মাত্র ১০ লক্ষ টাকা অফিস চালাতে খরচ করেছে। চেয়ারম্যানের বেতন কে দিয়েছে,ন বিচারপতির এই প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী জানান, চকোলেট গ্রুপ টাকা দিয়েছে। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রোজভ্যালির হোটেলগুলো বিক্রি না করে আমানত কারীদের টাকা না মিটিয়ে ওই কমিটি চকোলেট গ্রুপকে দিয়ে তার ব্যবসা করানো নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল বিচারপতি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
যা শুনে কার্যত হতবাক ও বিরক্ত বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, “হাইকোর্টের কোন নির্দেশে ওই কমিটি চকোলেট গ্রুপ নামে একটা সংস্থাকে এর ভিতরে ঢুকিয়েছে? যার কোনও অস্তিত্বই নেই। কমিটির কাজকর্ম নিয়ে অনুসন্ধান কমিটি করতে হবে। তার আগে এই রিপোর্ট আমরা ভালো ভাবে পড়ব।”
বিচারপতির আরও প্রশ্ন, “হাইকোর্ট নিযুক্ত বিচারপতির কমিটি কীভাবে আন অডিটেড রিপোর্ট দেয়? কেন অডিট করা হয় নি?” হাইকোর্টের নির্দেশ, আদালতকে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, তার কপি মামলার সব পক্ষকে দিতে হবে। এক্ষেত্রে বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “মানুষ দেখুক-জানুক কী চলছে!”
আগামী বুধবার এই নিয়ে ইডি-র জবাব শুনবে আদালত। এদিন চকোলেট গ্রুপের তরফে আইনজীবী হাজির হলেও, তাঁকে আগামীদিনে নিজের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

