Calcutta High Court: ‘খুনের ধারা যুক্ত করতে বাকি রেখেছেন’, বিচারপতি মান্থার নির্দেশে খুলল মতুয়া মহাসঙ্ঘের অ্যাকাউন্ট

Shrabanti Saha | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Apr 04, 2024 | 5:47 PM

Calcutta High Court: মহাসঙ্ঘ আসলে কে চালান? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি এদিন বলেন, দু'পক্ষই যেহেতু রাজনৈতিকভাবে দুটি ভিন্ন মেরুতে আছে, সেখানে ক্ষমতায় বসা নিয়ে এই দন্দ্ব অস্বাভাবিক নয়।

Calcutta High Court: খুনের ধারা যুক্ত করতে বাকি রেখেছেন, বিচারপতি মান্থার নির্দেশে খুলল মতুয়া মহাসঙ্ঘের অ্যাকাউন্ট
হাইকোর্টে মতুয়া মহাসঙ্ঘের মামলা
Image Credit source: GFX- TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: মতুয়া মহাসঙ্ঘ আসলে কার? এই নিয়েই মামলা চলছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এবার সেই মামলায় এফআইআর নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগের সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। মতুয়া মহাসঙ্ঘের যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছিল, তা শর্তসাপেক্ষে খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। বিচারপতি মান্থার বক্তব্য, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসাই এমন শত্রুতা বাড়ানোর মূল কারণ।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ও তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা বালা ঠাকুরের মধ্য়ে দ্বন্দ্বের জেরেই এই মামলা।

মহাসঙ্ঘ আসলে কে চালান? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি এদিন বলেন, দু’পক্ষই যেহেতু রাজনৈতিকভাবে দুটি ভিন্ন মেরুতে আছে, সেখানে ক্ষমতায় বসা নিয়ে এই দন্দ্ব অস্বাভাবিক নয়।

প্রায় ১ কোটি ৪৫ হাজার টাকা অবৈধ ভাবে জমা করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মমতা বালা। এরপর সেই অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়। পরে আদালত নির্দেশ দেয়, এই মামলায় ইনকাম ট্যাক্সকে মামলায় যুক্ত করতে হবে। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় রিপোর্ট পেশ করেছেন আয়কর দফতর।

এদিন বিচারপতি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “গাইঘাটা থানা অভিযোগ পাওয়ার পরে নূন্যতম অনুসন্ধান করার চেষ্টা করেনি। সরাসরি এফআইআর করা বেশি সহজ মনে করেছে। আবার ওসি প্রতারণা সহ সব ধারা একসঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন। খুনের ধারা যুক্ত করতে বাকি রেখেছেন। এটা বেআইনি এফআইআর। এর ভিত্তিতে কী করে অ্য়াকাউন্ট ফ্রিজ করা হল?”

ওই অ্যাকাউন্ট আগামিদিনে ব্যাবহার করলে প্রতিটি পাই পয়াসার হিসেব রাখতে হবে বলে উল্লেখ করেছে আদালত। তার হিসেব দিতে হবে থানাকে। তার আগে গ্যারান্টি হিসেবে দেড় কোটি টাকা জমা দিতে হবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দেবে সব পক্ষ।

Next Article