কলকাতা: জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও বার বার সফরে বিঘ্ন ঘটছে কেন? কেন নিরাপত্তায় গাফিলতি হচ্ছে? প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের আবেদন পেয়েই রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।
নেতাই, বাঁকুড়া, কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর সফরসূচিতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে, এমনই অভিযোগ তুলে সোমবার আদালতে যান শুভেন্দু অধিকারী। জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেও কেন বার বার তাঁর সফরসূচি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে আদালতে আবেদন জানান শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে বিস্ফোরক অভিযোগ, বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।
এরপরই বিচারপতি রাজশেখর মান্থা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য নিয়ে রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেন। আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে এই রিপোর্ট রাজ্যকে জমা দিতে হবে। ১৯ জানুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত সপ্তাহেই শুভেন্দু অধিকারী মেদিনীপুরের নেতাইয়ে যাওয়ার জন্য আলাদা করে মামলা দাখিল করেছিলেন। সেই সময় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এজি জানিয়েছিলেন, নেতাই কেন রাজ্যের যে কোনও জায়গায় বিরোধী দলনেতা যেতে পারেন। তার জন্য আলাদা করে অনুমতি নেওয়ার প্রশ্নই নেই। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে বলেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীর যে কোনও সফরপথ বা তিনি যেখানে যাবেন, সেখানে তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্যের। অথচ এরপর শুভেন্দু অধিকারী গত ৭ জানুয়ারি নেতাই গেলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বলে অভিযোগ তোলেন।
অর্থাৎ আদালতের নির্দেশ কিংবা মৌলিক অধিকার থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যেতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে বাধার মুখ পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁকে। একইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে সিসিটিভি বসানো হচ্ছে, এমন অভিযোগও উঠে এসেছে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির বাড়ির সামনে মাঝ রাত অবধি মাইক বাজানো হচ্ছে, বাড়ির দরজা, জানালা লক্ষ্য করে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে, এ ছাড়া বার বার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। সম্প্রতি নেতাইয়ের ঘটনা তার উদাহরণ। এই সমস্ত বিষয় তুলে ধরেই সোমবার নতুন করে আদালতে আবেদন জানান শুভেন্দু অধিকারী।
তার প্রেক্ষিতেই বিচারপতি রাজশেখর মান্থা রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট রাজ্যকে আদালতে পেশ করতে হবে। ১৯ জানুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি হবে। তার আগে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট দেবে রাজ্য।
আরও পড়ুন: সুকান্তকে ফোন মমতার, তিন মিনিট কথা বললেন বিজেপি সভাপতির সঙ্গে