বিশ্বভারতীকে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের, আইনি যুদ্ধে বিরাট জয় পেলেন অধ্যাপক মানস মাইতি

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত

Jul 30, 2021 | 10:42 AM

বিচারপতি নিজের রায়ে লেখেন, "নিয়োগকারী সংস্থার এমন আচরণ থেকে বিরত থাকা উচিত যা পক্ষপাতের ইঙ্গিত করে।"

বিশ্বভারতীকে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের, আইনি যুদ্ধে বিরাট জয় পেলেন অধ্যাপক মানস মাইতি
অধ্যাপক মানস মাইতি (বাঁ-দিকে), উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (ডান দিকে)

Follow Us

কলকাতা: বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে আইনি যুদ্ধে বিরাট জয় পেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মানস মাইতি। বিগত কয়েক মাস ধরে টানাপড়েনের পর মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়ে দেন, ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ যে ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে, তা পক্ষপাতদুষ্ট বলে মনে করছে আদালত। বিচারপতি নিজের রায়ে লেখেন, “নিয়োগকারী সংস্থার এমন আচরণ থেকে বিরত থাকা উচিত যা পক্ষপাতের ইঙ্গিত করে।”

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধান ছিলেন মানসবাবু। কিন্তু চলতি বছরের শুরুতেই এমন একটি ঘটনা ঘটে যার পর থেকে উপার্চায বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বিষিয়ে ওঠে। ঘটনার সূত্রপাত চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাস। ২৬ ফেব্রুয়ারি ইংরাজি বিভাগের অধ্যাপক-সহ জনাকয়েক সদস্যকে ‘বন্দি’ করার অভিযোগ ওঠে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মানস মাইতির আইনজীবীর শামিম আহমেদের দাবি, সেই সময় ক্যাম্পাসে পুলিশ ডেকে বন্দিদের মুক্তির ব্যবস্থা করেন তাঁর মক্কেল। এর ঠিক পরদিন, অর্থাৎ ২৭ ফেব্রুয়ারি কোনও ‘অজানা কারণে’ মানস মাইতিকে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

সেই বিষয়টি নিয়েই মানসবাবু আদালতের দ্বারস্থ হলে নিজের রায়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করে হাইকোর্ট। কেন মানস মাইতিকে তাঁর বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে সরানো হল, সেই ব্যাখ্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি বলেই জানিয়েছে আদালত। এমনকী, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি রীতিমতো নস্যাৎ করে দিয়ে আদালত জানিয়েছে, মানস মাইতির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে বলে বিশ্বভারতী যে দাবি করেছে, “তা পুরোপুরি অসত্য।”

যে কারণে আদালত স্পষ্টত নিজের রায়ে জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অধ্যাপক মানস মাইতির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে শৃঙ্খলাজনিত কোনও প্রক্রিয়া চালাতেই পারে। কিন্তু আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ অধ্যাপক মানস মাইতির বিরুদ্ধে করা যাবে না। বিশ্বভারতীতে বিগত কয়েক মাস ধরে চলে আসা উপার্চায বনাম অধ্যাপকদের ‘ঠান্ডা লড়াইয়ের’ মাঝে আদালতের এই রায় অধ্যাপকদেরই অক্সিজেন দিল বলে মত আইনজ্ঞ মহলের। আরও পড়ুন: বৃষ্টির সন্ধ্যায় ফাঁকা রাস্তায় তৃণমূল কর্মীকে পিছন থেকে ডাক, ঘুরতেই ‘কোপ’!

Next Article