Calcutta High Court: গৌতম পালকে বেঁধে দেওয়া আদালতের সময়সীমার ৫ মিনিট আগেই হল চাকরিপ্রার্থীর ইন্টারভিউ!
Calcutta High Court: ২০১৪ সালের টেটে অংশ নেন প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থী পল্লব বারিক। ওই পরীক্ষায় তিনি পাশ করেননি বলে জানায় পর্ষদ। পর্ষদের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন পল্লব। গতবছরই আবার পর্ষদ জানিয়ে দেয়, টেটে পাশ করেছেন তিনি।
কলকাতা: ৩.২০ মিনিটের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালের হাতে সময় ছিল। তার মধ্যে আদালতের নির্দেশ না মানলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গৌতম পালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তারপরই সক্রিয় পর্ষদ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থী পল্লব বারিককে তড়িঘড়ি ডেকে পাঠানো হয়। বেলা ৩.১৫ মিনিট নাগাদ চাকরিপ্রার্থীর ইন্টারভিউ, অ্যাপ্টিটিউট টেস্ট নেয়। গোটা প্রক্রিয়ায় ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ভিডিয়ো রেকর্ডিং জমা দিতে বলেছে। পর্ষদকে সেদিনের মধ্যে আদালতে সেই ভিডিয়োগ্রাফি জমা দিতে হবে।
২০১৪ সালের টেটে অংশ নেন প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থী পল্লব বারিক। ওই পরীক্ষায় তিনি পাশ করেননি বলে জানায় পর্ষদ। পর্ষদের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন পল্লব। গতবছরই আবার পর্ষদ জানিয়ে দেয়, টেটে পাশ করেছেন তিনি।
টেট উত্তীর্ণ জানতে পেরে চাকরির দাবিতে হাইকোর্টে মামলা করেন পল্লব। গত ২১ সেপ্টেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ওই চাকরিপ্রার্থীকে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার নির্দেশ দেন।
শুক্রবার এই মামলাটি ফের হাইকোর্টে ওঠে। পর্ষদ কেন আদালতের নির্দেশ কার্যকর করেনি? এ বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন। তাঁঁর নির্দেশ, শুক্রবারই আদালতের পূর্ব নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। আর তার জন্য চার ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরই চাকরিপ্রার্থীকে ডেকে ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করে পর্ষদ।