কলকাতা: AIDSO নেত্রী সুশ্রীতা সোরেনের মামলায় এবার আদালতে ভর্ৎসিত পুলিশ। হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, “মেদিনীপুর মহিলা থানা ঠিক নয় , ডিজিকে বলুন ব্যবস্থা নিতে। নাহলে আমি কড়া নির্দেশ দিতে বাধ্য হব।”
বিচারপতির মন্তব্য, “সিসিটিভি ফুটেজ আমি দেখেছি। নির্যাতনের প্রমাণ আছে।
কাউকে আটক বা গ্রেফতার করে অত্যাচার করা এবং সেই অত্যাচার করে উল্লসিত হওয়াটা চলতে পারে না। থানায় মোম দেখা গিয়েছে।”
রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, “কাগজ সিল করা, মশার ধূপ জ্বালানোর জন্য মোম ছিল।” বিচারপতির প্রশ্ন, “আই জি পি-কে সম্পূর্ণ ফুটেজ দেওয়া হয়নি। ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ১৩ ঘণ্টার ফুটেজ দেওয়া হয়েছে। চার ঘণ্টার দেওয়া হয়নি কেন ?”
বিচারপতির প্রশ্ন, “চুলের মুঠি কেন ধরা হয়েছিল?” ওই থানা পুনর্গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
SFI নেত্রী সুচরিতা দাসের মামলায় মুরলিধর শর্মা-কে সিসিটিভি ফুটেজ এবং ডিজিটাল নথি খতিয়ে দেখতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। সম্প্রতি রিপোর্ট দিয়েছেন মুরলিধর শর্মা।
যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে সোমবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বামপন্থী সংগঠনগুলো। সেদিনই মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানার লকআপে ঘটে যায় নৃশংস ঘটনা! প্রতিবাদে সামিল হওয়ায় AIDSO-র মহিলা সদস্যের ওপর অকথ্য অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। মোমের ছ্যাঁকা থেকে শুরু করে চুল ধরে শূন্যে উঁচু করে পায়ের তলায় মার দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ভয়ঙ্কর অভিযোগ করেন এআইডিএসও-র নিগৃহীত চার মহিলা কর্মী সমর্থক। সাংবাদিক বৈঠক করে প্রথমে লকআপে পুলিশের নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগ সামনে আনেন তাঁরা। এমনকি নিগৃহীতারা রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঘোরার পরও, তাঁকে চিকিৎসা করে কোনও ইনজুরি রিপোর্ট দেয়নি বলেও অভিযোগ তোলেন তাঁরা। আদালতেও সেই বিষয়টি তুলে ধরা হয়।