কলকাতা: জোড়াবাগানের নৃশংস ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা রাজ্য। গত বৃহস্পতিবার জোড়াবাগানে বাড়ির ছাদে ওঠার সিড়ি থেকে উদ্ধার হয় ন’ বছরের শিশুর গলা কাটা দেহ। তদন্তে নেমেই হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দাদের সন্দেহের তালিকায় নাম আসে বাড়ির দারোয়ান রামকুমার ওরফে লম্বুর। এবার তাকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল নগর দায়রা আদালতের বিশেষ পকসো সংক্রান্ত এজলাস।
পুলিশের জেরার মুখে নির্যাতন ও খুনের কথা কবুল করেছিল অভিযুক্ত দারোয়ান রামকুমার। শনিবার তাকে লালবাজার সেন্ট্রাল জেল থেকে নগর দায়রা আদালতের বিশেষ পকসো এজলাসে পেশ করে কলকাতা পুলিশ। সেখানে আদালতে সরকারি আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায় বিচারকের সামনে ঘটনাটিকে নৃশংস ও বিরলতম ঘটনা হিসেবে তুলে ধরেন। এরপর কলকাতা পুলিশ তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত রামকুমারকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে। আবেদনে সাড়া দিয়ে বিচারক ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রামকুমারের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
জেরায় লম্বু স্বীকার করেছিল, ঘটনার রাতে নিজের ঘরে অশ্লীল ভিডিয়ো দেখেছিল সে। দেশি মদের সঙ্গে খাচ্ছিল বিরিয়ানি ও চিপস। সেই সময় ন’বছরের ওই মেয়েটি খেলতে খেলতে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। মেয়েটিকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ঘরের ভেতর নিয়ে যায় সে। মাদক মেশানো খাবার খাওয়ানোয় অচৈতন্য হয়ে পড়ে শিশুটি। তারপর চলে নির্যাতন। শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে লম্বু। রাত বাড়তেই ছাদের সিড়ির কাছে গিয়ে ফেলে দেয় দেহ। এরপর ফের নিজের ঘরে এসে বাকি বিরিয়ানি খায়, মদ খায়। রোজকার মতোই পাম্প চালায়। রাস্তায় ঘুরতে বেরোয়।
আরও পড়ুন: শোভন-বৈশাখীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দেবশ্রীর
তবে রামকুমারের এই স্বীকারোক্তিকেও এখনই সত্যি বলে মেনে নিচ্ছেন না গোয়েন্দারা। ঘটনায় বাইরের কেউ জড়িত কিনা সে বিষয় খতিয়ে দেখতে অভিযুক্ত রামকুমারকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণ করবেন তাঁরা। এমনটাই সূত্রের খবর।