কলকাতা: প্রকাশ্য জনসভায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Trinamool MP Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে দেগে ছিলেন তোপ। তাতেই রেগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Leader of Opposition Shuvendu Adhikari) বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। কিন্তু তা হয়েছিল ডায়মন্ডহারবার আদালতে। এবার সেই মামলা ডায়মন্ডহারবার আদালত থেকে ফিরল সিটি সিভিল আদালতে। এদিকে এর আগে এই মামলা ডায়মন্ড হারবার আদালত থেকে স্থানান্তরের জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। তাঁর দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তাই ওই আদালত থেকে মামলা স্থানান্তর করা হোক। না হলে তিনি মামলাকে প্রভাবিত করতে পারেন। অবশেষে শুভেন্দুর দাবিতেই সায় দিল আদালত।
শুক্রবার বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত মামলাটি সিটি সিভিল আদালতে স্থানাতরের নির্দেশ দেন। যা নিয়ে নতুন করে চাপান-উতর তৈরি হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। প্রসঙ্গত এর আগে এই মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন না। যা নিয়েও বিস্তর জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। যদিও এই নির্দেশের পরেও ডায়মন্ডহারবার আদালত রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে লিখিত বিবৃতি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তারপর তা নিয়ে পাল্টা ডায়মন্ডহারবার আদালতকে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার একেবারে সেই মামলাই একেবারে ফিরে আসছে কলকাতা হাইকোর্টে।
প্রসঙ্গত. শুভেন্দু শিবিরের সঙ্গে মমতা ব্রিগেডের দ্বন্দ্ব নতুন মাত্রা পায় শেষ বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে। নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কাছে মমতার পরাজয়ের পর আরও চরমে ওঠে বিরোধ। তোপ পাল্টা তোপের খেলা চলতে থাকে দু তরফে। কিন্তু, তারমাঝে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা নিয়ে নতুন করে শুরু হয় জোরদার চর্চা। এদিকে কলকাতা, ডায়মন্ডহারবার তো বটেই রাজ্যেই প্রভাবশালী তো নেতাদের তালিকায় প্রথমসারিতে রয়েছে শুভেন্দু। তাই একেবারে ডায়মন্ডহারবারে এ মামলা হওয়ায় চাপ বেড়েছিল পদ্ম শিবিরের উপর। অবশেষে তা কলকাতায় ফেরায় খানিক স্বস্তিতে শুভেন্দু শিবির।