কলকাতা : কল্য়াণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য গৌতম পালকে ওই পদে বসানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার মামলা করা হল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাটি করেছেন প্রলয় চক্রবর্তী নামে জনৈক এক ব্যক্তি। মামলাকারীর অভিযোগ, ওই পদে বসার জন্য যোগ্যতা নেই গৌতম পালের। জানা গিয়েছে, প্রলয় চক্রবর্তী নামে ওই মামলাকারী কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। তিনি কল্য়াণীরই বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী রয়েছেন বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য। শুক্রবার এই মামলাটি গ্রহণ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ। তিনি সব পক্ষকে আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য গৌতম পালকে সম্প্রতি রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশে মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি পদ থেকে সরানোর পর বেশ কিছুদিন ওই পদটি ফাঁকা ছিল। সম্প্রতি ওই পদে নিয়ে আসা হয়েছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য গৌতম পালকে। দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দিনই গৌতম বাবু আগামীর পথ কেমন হবে, তার একটি বার্তা দিয়েছিলেন। আশ্বাস দিয়েছেন, প্রতি বছর টেট হবে। আগামীতে সব কিছু স্বচ্ছভাবে হবে, এমন বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে সহউপাচার্য পদে গৌতম পাল অবশ্য তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, অপদস্থ করার জন্যই এই মামলা করা হয়েছে। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মন্তব্য নয়। শিক্ষাগত যোগ্যতা বিশ্বের যে কোনও জায়গা থেকে যাচাই করা হোক। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে প্রফেসর হন গৌতম পাল। এরপর ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য হন তিনি। গৌতম পালের দাবি, তাঁর যথেষ্ট যোগ্যতা আছে। তাঁর ৩৩ পাতার সিভিরও রয়েছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি পদে বসেছেন গৌতম পাল। দায়িত্ব নেওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকও করেছিলেন। স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন, আগামী দিনে সব কিছুতে স্বচ্ছতা থাকবে। এমনকী টেট চাকরিপ্রার্থীদের যে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে, সেগুলিও শুনবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।