OMR Fraud: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রায় ৮ হাজার OMR শিটে কারচুপি! দাবি CBI-এর

SSC Recruitment Scam: OMR শিটে কারচুপি নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম অংশ। ওএমআর বিকৃতির তদন্তে বেশ কয়েকমাস আগে দিল্লি ও গাজিয়াবাদে নাইসার অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই।

OMR Fraud: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রায় ৮ হাজার OMR শিটে কারচুপি! দাবি CBI-এর
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 25, 2023 | 2:08 PM

কলকাতা: স্কুল সার্ভিস দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে একের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এসএসসি দুর্নীতিতে শুক্রবার গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল নীলাদ্রি দাস নামের এক ব্যক্তিকে। নিলাদ্রি যে সংস্থার আধিকারিক সেই সংস্থার হাতেই ছিল এসএসসি পরীক্ষার ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্ব। গাজিয়াবাদ ও দিল্লির অক্ষরধামে সেই সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ওএমআর বিকৃতির ব্যাপারে একাধিক তথ্য এসেছে সিবিআইয়ের হাতে। নাইসা নামে ওই সংস্থার অফিস থেকে ওমএমআর শিট সংগ্রহও করেছে সিবিআই। সিবিআইয়ের দাবি, এসএসসি গ্রুপ সি-র নিয়োগ পরীক্ষায় ৩ হাজার ৪৮১টি ওএমআর বিকৃত করা হয়েছে। এসএসসি গ্রুপ ডি-তে ২ হাজার ৮২৩টি ওএমআর বিকৃত হওয়ার দাবি সিবিআইয়ের। এর পাশাপাশি নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগেও ওমএমআর শিটের দুর্নীতি নজরে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। তাঁরা জানিয়েছে, নবম ও দশমের ৯৫২টি, একাদশ ও দ্বাদশের ৯০৭টি ওমএরআর শিটে গরমিল রয়েছে।

OMR শিটে কারচুপি নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম অংশ। ওএমআর বিকৃতির তদন্তে বেশ কয়েকমাস আগে দিল্লি ও গাজিয়াবাদে নাইসার অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। নাইসার সার্ভার থেকে তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করে কারচুপির বহু তথ্য হাতে পান তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত ওএমআর কারচুপির এই তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। যা ইতিমধ্যে হাই কোর্টে জমা দিয়েছে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

নীলাদ্রি দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওএমআর শিট কারচুপির আরও তথ্য মিলবে বলেই আশাবাদী তদন্তকারীরা। সেই লক্ষ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নাইসার ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রির দাস কার নির্দেশে নিয়োগ সংক্রান্ত OMR কারচুপি করতেন তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। নীলাদ্রির হয়ে এই OMR কারচুপির কাজ কারা কারা করতেন তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এই কারচুপি করে আর্থিক কী ভাবে ওই সংস্থা লাভবান হয়েছিল তাও নজর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি নীলাদ্রি আর্থিক ভাবে কতটা লাভবান হয়েছিলেন তাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই।