কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহারা বারবার জামিনের আবেদন জানাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ফের ছিল তাঁদের জামিন মামলার শুনানি। অভিযুক্তরা যাতে জামিন না পান, তার জন্য এদিন একাধিক যুক্তি দেয় সিবিআই। তাদের বক্তব্য, এই অভিযুক্তরা প্রভাবশালী। ছাড়া পেলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে।
এদিন সিবিআই দাবি করে, “চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড় ধরা”, এই শব্দবন্ধ মাথায় রেখেই দিনের পর দিন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্তরা দুর্নীতি চালিয়ে গিয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতির জামিন মামলায় এমনই সওয়াল করেছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, যারা চেয়ারে ছিল না, তারাই এই নিয়োগ দুর্নীতিতে আসল ম্যাজিক করেছে।
অভিযুক্তদের সাংবিধানিক অধিকারের কথা বারবার বলেছেন তাঁদের আইনজীবীরা। এই প্রসঙ্গে সিবিআই-এর বক্তব্য, যারা বঞ্চিত হয়েছে, তাদের সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার কী হবে? অভিযোগ, ২০ থেকে ২৫ জন এমন সাক্ষী আছেন, যাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
সিবিআই-এর সওয়াল, অভিযুক্তরা নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। অভিযুক্তদের রাজনৈতিক ক্ষমতাও ছিল। তাই এদের জামিন দিলে তদন্তে প্রভাব পড়বে। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা প্রশ্ন করেন, “এদের জামিন দিলে কি এরা আবার নিজেদের পদ ফিরে পাবেন? যদি না পান আপনাদের ভয় কেন?” সিবিআই-এর আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী উত্তরে বলেন, “সিবিআই-এর ভয়, এতে তদন্ত প্রভাবিত হবে। এরা সবাই প্রভাবশালী ছিলেন। একই সঙ্গে সিবিআই মনে করিয়ে দিয়েছে, এই অভিযুক্তদের তদন্তের ক্ষেত্রে এখনও সম্মতি দেয়নি সরকার।”
অন্যদিকে, তদন্ত নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “নিয়োগ দুর্নীতিকে অন্তত সারদার মতো করবেন না। তাঁর দাবি, সারদা মামলার তদন্ত ২০১৪ থেকে এখনও চলছে। সিবিআই তদন্ত করেই যাচ্ছে। শেষ হচ্ছে না।”