Doctor’s Protest: ‘আমাদের ক্ষমা করবেন’, ‘অদৃশ্য শক্তির’ নির্দেশে ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চ থেকে সরে যাচ্ছে ফ্যান, বায়ো টয়লেট?
Doctor's Protest: চিকিৎসকদের দাবি, তাঁরা এগুলো সরাতে বলেননি। আন্দোলরত জুনিয়র ডাক্তারের অভিযোগ, পুলিশের তরফ থেকে চাপ দেওয়া হয়েছে বলেই এভাবে মালপত্র সরানো হচ্ছে। তিনি বলেন, "এক 'অদৃশ্য শক্তি' আছে। সেখান থেকে প্রায় প্রতিদিন ডেকরেটরদের কাছে ফোন আসছে।"
কলকাতা: বুধবার রাতে জুনিয়র ডাক্তাররা যখন নবান্নে বৈঠক করছেন, তখনই স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধরনা মঞ্চের বাঁশ খুলে নিতে দেখা যায়। তবে রাতেই সব জল্পনা শেষ করে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, তাঁদের অবস্থান এখনই উঠছে না। নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে মৌখিক আশ্বাস মিললেও মিনিটসে তার উল্লেখ না থাকায় ধরনা জারি রেখেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেল, ধরনা মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্ট্যান্ড ফ্যান, সরানো হচ্ছে বায়ো টয়লেটগুলিও। কারা সরাচ্ছে এসব?
চিকিৎসকদের দাবি, তাঁরা এগুলো সরাতে বলেননি। আন্দোলরত জুনিয়র ডাক্তারের অভিযোগ, পুলিশের তরফ থেকে চাপ দেওয়া হয়েছে বলেই এভাবে মালপত্র সরানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “এক ‘অদৃশ্য শক্তি’ আছে। সেখান থেকে প্রায় প্রতিদিন ডেকরেটরদের কাছে ফোন আসছে। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ঘুরিয়ে মিষ্টি করে বলা হচ্ছে। আজ এক ছোট ডেকরেটর সংস্থা তাদের জিনিস নিয়ে যাচ্ছে। ওরা যাওয়ার সময় শুধু হাতজোড় করে বলেছে আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।” চিকিৎসকের দাবি, টাকা লাগবে কি না, সেই প্রশ্ন করা হয়েছিল ওই ডেকরেটর সংস্থাকে। কিন্তু তারা ক্ষমা করে দিন বলে চলে গিয়েছে। এভাবে ধরনা তুলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠলেও পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি অনীশ সরকার জানিয়েছেন, পুলিশের তরফ থেকে কোনও চাপ দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, “এখনও বলছি ওঁদের কোনও সহযোগিতা দরকার হলে আমাদের বলতে পারে। আমরা সাহায্য করব।”
ডেকরেটর সংগঠনের নেতা প্রদীপ বণিক প্রাথমিকভাবে জানান, কারা ফ্যান বা টয়লেট সরাচ্ছে সে ব্যাপারে কোনও তথ্য নেই তাঁর কাছে। তবে তিনি জানান, প্রশাসনের তরফ থেকে তাঁকে ডাকা হয়েছিল। ধরনা মঞ্চে কী দেওয়া হচ্ছে, সে ব্যাপারে প্রশ্নও করা হয়। প্রদীপ বণিক বলেন, “আমি আজ অসুস্থ হলে ডাক্তাররাই বাঁচাবে। আমি তো তাঁদের না বলতে পারি না।”