কলকাতা: বেলা ১১টায় সিবিআই-এর আসার কথা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বাড়িতে। পুলিশে পুলিশে ছয় লাপ এলাকা। কড়া নিরাপত্তা। সাংবাদিকদের ভিড় সামলাতে ব্যস্ত নিরাপত্তারক্ষীরা। কোনও আগাম ইঙ্গিত, খবর কিছুই ছিল না। বেলা ১১.২২ মিনিট। সকলকে চমকে দিয়ে একটা সাদা স্করপিয়ো ঢোকে অভিষেকের বাড়িতে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) হাজির অভিষেকের বাড়িতে। উল্লেখ্য, অভিষেক-জায়াকে আজই কয়লা পাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা।
মমতার পৌঁছনোর খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয়ে যায় জল্পনাও। এর আগে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার সময় অনেক জলঘোলা তৈরি হয়েছিল। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তবে কি এ দিন রুজিরাকে সিবিআইয়ের জেরার সময়ে অভিষেকের বাড়িতে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? বিরোধীরা বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতেও শুরু করেন। বাম-বিজেপি নেতৃত্ব বলছেন, ‘রুজিরাকে সাহস জোগাতেই মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছেন’। জল্পনা চলছিলই। অভিষেকের বাড়ির পার্কিং লটে তখনও দাঁড়িয়ে সাদা স্করপিওটি।
আরও বড় কোনও খবরের অপেক্ষায় ছিলেন সাংবাদিকরা। কিছুক্ষণের মধ্যে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। সাংবাদিকরা ঘিরে ধরেন তাঁকে। দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রী একা নন, তাঁর সঙ্গে হাতে ধরে রয়েছে তাঁর নাতনি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, সিবিআই-এর নানা কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হাতে পারেন রুজিরা। বেলা তখন ১১.৩৩ মিনিট। অর্থাৎ মিনিট দশেক অভিষেকের ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়িতে থেকে বেরিয়ে যান তিনি। নাতনির হাত ধরে গাড়ি পর্যন্ত আসেন। তারপর একাই গাড়িতে উঠে যান।
বেলা ১১.৩৫ মিনিট। সিবিআই আধিকারিকরা পৌঁছলেন শান্তিনিকেতনে। ততক্ষণে রাজনৈতিক মহলে অন্য জল্পনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিকদের দৃষ্টিও ঘুরে গিয়েছে অন্য দিকে।