AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Group D Recruitment Scam: গ্রুপ ডি নিয়োগের সুপারিশে ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রেই কারচুপি, আদালতে জানাল সিবিআই

Calcutta High Court: আগামী সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইয়ের দাবি কর ১২৭ জনের ওএমআর শিট কমিশনকে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

Group D Recruitment Scam: গ্রুপ ডি নিয়োগের সুপারিশে ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রেই কারচুপি, আদালতে জানাল সিবিআই
কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2023 | 3:59 PM
Share

কলকাতা: গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলার (Group D Recruitment Scam) এদিন শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সেই মামলার শুনানিতে বিস্ফোরক দাবি করে সিবিআই (CBI)। সিবিআইয়ের তরফে আদালতে জানানো হয়, গ্রুপ ডি নিয়োগে সুপারিশের সংখ্যার ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রেই কারচুপি হয়েছিল। শুধু তাই নয়, সিবিআইয়ের দাবি গ্রুপ ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও ১২৭টি ব্ল্যাঙ্ক ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে। এমন ফাঁকা ওএমআর শিটের মোট সংখ্যা ২২৭। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইয়ের দাবি করা ওই ১২৭ জনের ওএমআর শিট প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। পাশাপাশি এই মামলায় ইডিকেও যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

গ্রুপ ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপারিশের সংখ্যা এবং সাদা ওএমআর শিটের যে তথ্য জানানো হয়েছে, তাতেও ভিন্নতা রয়েছে। কমিশনের তরফে যে তথ্য জানানো হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে ১৯১১ জনকে সুপারিশ করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১৬৯০ জনের নাম প্যানেলে ছিল। সেগুলির মধ্যে ১২৫ জনের ওএমআর শিট পুরো সাদা। অন্যদিকে সিবিআইয়ের দাবি, ৪ হাজার ৪৮৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ২ হাজার ৮২৩ জনের সুপারিশে কারচুপি হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের, যা ৫০ শতাংশেরও বেশি।

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন নির্দেশ দিয়েছেন, কমিশনকে হলফনামা দিতে আগামী সপ্তাহে জানাতে হবে এই বিষয়ে। কত শূন্যপদ? কতজনকে সুপারিশ? কতগুলি ওএমআর শিটে গরমিল? কতজন চাকরি পেয়েছে? সেই সব তথ্য জানাতে হবে আদালতকে। এইদিন হাইকোর্ট এই মামলায় ইডিকেও যুক্ত করার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেন কীভাবে হয়েছে, সেটা দেখা দরকার।” সেই কথা উল্লেখ করেই ইডিকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসেও গ্রুপ ডি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি রয়েছে।