Tapas Mondal Exclusive: ক্যান্ডিডেট পিছু ১ লাখ টাকা! স্বীকার করেও তাপস বলছেন, ‘চার্জটাও তো কম ছিল’

Recruitment Scam: টাকা দিয়ে চাকরি? তিনি তো জানতেন চাকরি দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে। তাহলে সব জেনেশুনেও কেন তিনি পাঠালেন ছাত্রছাত্রীদের সেখানে? কী বলছেন তাপস মণ্ডল?

Tapas Mondal Exclusive: ক্যান্ডিডেট পিছু ১ লাখ টাকা! স্বীকার করেও তাপস বলছেন, 'চার্জটাও তো কম ছিল'
তাপস মণ্ডল (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2023 | 4:15 PM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) মামলায় মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। ইডির চার্জশিটে নাম রয়েছে তাঁরও। টিভি নাইন বাংলাকে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে এই নিয়েই আক্ষেপের কথা শোনালেন তাপস। বললেন, ‘এখন দেখছি এসবে না জড়ানোই আমার উচিত ছিল। হঠাৎ করে জড়িয়ে গেলাম। খুব খারাপ লাগছে।’ কিন্তু কীভাবে জড়ালেন তিনি এসবের মধ্যে? জানালেন, শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত হওয়ার সুবাদে অনেক ছাত্র-ছাত্রীই তাঁর কাছে আসত চাকরি করিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি এসব কিছুর মধ্যেই জড়িত থাকতেন না বলেই দাবি করেন। বললেন, “খবর পেয়েছিলাম একজন দেখছে, তাই তাঁর কাছে পাঠিয়েছি।” আক্ষেপের সুরে শোনালেন, ওরা এখন বলছে, ‘আপনি না বললে তো আমরা যেতাম না।’

বললেন, “এখন চাকরি সবারই প্রয়োজন। যাঁর মেরিট আছে, যাঁর মেরিট নেই… সবাই চাইছে যাতে চাকরি পাই। কিন্তু আমি তো অপারগ। আমি নিজে তো কিছু করতে পারছি না। তাই বলেছিলাম, যাও ওর সঙ্গে কথা বলো। ভেবেছিলাম, কিছু বেকার ছেলেমেয়ে যদি চাকরি পায়, পাক না… অসুবিধা কোথায়।” কিন্তু তাই বলে টাকা দিয়ে চাকরি? তিনি তো জানতেন চাকরি দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে। তাহলে সব জেনেশুনেও কেন তিনি পাঠালেন ছাত্রছাত্রীদের সেখানে? টিভি নাইন বাংলার সেই প্রশ্নেরও জবাব দিলেন তাপস মণ্ডল। বললেন, “এখন চারিদিকেই খবর পাচ্ছি, পয়সা কড়ি না দিলে হয় না। চার্জটাও তো কম ছিল।”

টিভি নাইন বাংলাকে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে বললেন, “প্রথমে যে ৩২৫ জনের তালিকা তৈরি হয়েছিল, তাতে আমারও কিছু পরিচিত ছাত্রছাত্রীদের নাম ছিল। সেই সময় ১ লাখ টাকা করে দাবি করা হয়েছিল।” তাপসবাবু জানতে চেয়েছিলেন কী কারণে এই এক লাখ টাকা? তাপসের দাবি, তাঁকে বলা হয়েছিল সবাইকে আদালতে কেস করিয়ে পাশ করিয়ে দেবে। তার জন্য ক্যান্ডিডেট পিছু ১ লাখ টাকা দিতে হবে। বললেন, “ওই ৩২৫ জন ক্যান্ডিডেট ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা দিয়েছিল। সবাইকে ও পাশও করিয়েছিল।”

তাপস মণ্ডলের কথায়, তিনি ভেবেছিলেন আদালতে গিয়ে উকিল ধরে কাজ করতে গেলে, তাতেও সেই উকিলকে টাকা দিতে হত। সেই কথা ভেবেই তিনি কুন্তলের কাছে পাঠিয়েছিলেন, যেহেতু কুন্তল গোটা বিষয়টাই দেখে নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল। আগেও নাকি কুন্তল এভাবে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিল, সেই দেখেই আশ্বস্ত হয়েছিলেন তাপসবাবু, এমনই দাবি তাঁর।