কলকাতা: ৫৫ দিন ‘লুকিয়ে’ থাকার পর সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় রাজ্য পুলিশ। শাহজাহান-মামলার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। তারপর থেকে ভবানী ভবনে রয়েছেন শাহজাহান। এদিকে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে শাহজাহানকে। মঙ্গলবারের এই নির্দেশের পর থেকেই চলছে তোলপাড়। আজ বুধবার কি সিবিআই হেফাজতে পাবে শাহজাহানকে? নজর সেদিকেই।
জানুয়ারির ৫ তারিখে যে ঘটনার সূত্রপাত, ঠিক দু’ মাস পার করে ৬ মার্চ কেন্দ্রীয় এজেন্সি হাতে পেল শেখ শাহজাহানকে। তবে তাঁকে হাতে পেতে মঙ্গলবার ও বুধবার দফায় দফায় সিবিআই ও সিআইডির টানাপোড়েন নজরে এসেছে। হাইকোর্ট পর পর দু’বার হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়ার পর আজ রাত ৯টা ২২ মিনিটে শাহজাহানকে নিয়ে নিজাম প্যালেসে হাজির হয় সিবিআই। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে, প্রায় ১ প্ল্যাটুনের মতো সিআরপিএফ বাহিনীর উপস্থিতিতে শেখ শাহজাহানকে নিয়ে আসা হয়। এবার সিবিআই বের করবে এই ৫৬ দিন, রাজ্য পুলিশের হাতে ধরা না পড়া পর্যন্ত কোথায় ছিলেন তিনি, কার হেফাজতে?
জোকায় শারীরিক পরীক্ষা হল শেখ শাহজাহানের। এবার তাঁর ঠিকানা নিজাম প্যালেস। শাহজাহানকে ইএসআই হাসপাতাল থেকে বের করার সময়ই উঠল ‘ডাকাত’, ‘চোর’ স্লোগান।
কেন্দ্রীয় বাহিনীতে ঘিরে ফেলা হয়েছে নিজাম প্যালেস চত্বর। কলকাতা পুলিশ একের পর এক গার্ড রেল এনে শেখ শাহজাহানের প্রবেশপথ ঘিরে দিচ্ছে। সিআরপিএফ রয়েছে পর্যাপ্ত। আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। জোকায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর এখানে আনা হবে শাহজাহানকে।
সিবিআই মূলত শাহজাহানের কাছে জানতে চাইতে পারে, কেন তাঁর এলাকায় নিয়ে ইডি আধিকারিকদের হামলার শিকার হতে হল। ঘটনার মাস্টারমাইন্ড কে বা কারা? বারবার ইডি অভিযোগ তুলেছে, শাহজাহানকে অভিযানের দিন (৫ জানুয়ারি) তাঁর ফোন ব্যস্ত ছিল। বেশ কিছুক্ষণ ‘এনগেজ’ ছিল ফোন। সিবিআই জানতে চাইবে, কাকে বা কাদের ফোন করেছিলেন শাহজাহান?
অবশেষে সিবিআই হাতে পেল শেখ শাহজাহানকে। ভবানী ভবন থেকে সিবিআই বের করে নিয়ে গেল শাহজাহানকে। এর আগে সিআইডি তাঁকে এসএসকেএমে নিয়ে গিয়েছিল। কখন হস্তান্তর হবে শাহজাহানের, তা নিয়ে জোর টানাপোড়েন চলছিল। অবশেষে বুধবার ঘড়ির কাঁটা তখন সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৪৪ মিনিট, শাহজাহানকে বের করা হল ভবানী ভবন থেকে। সিআইডির মেডিক্যাল চেকআপ করিয়ে আনার পরই সিবিআই হাতে পায় সন্দেশখালির বাঘকে। এবার তাঁকে জোকা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হবে মেডিক্যালের জন্য। তারপর সেখান থেকে নিজাম প্যালেস।
আজই সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে শেখ শাহজাহানকে। সিআইডি সূত্রে খবর।
শেখ শাহজাহানকে নিয়ে যাওয়া হল এসএসকেএম। সিআইডি শাহজাহানকে নিয়ে এসএসকেএমে গেল। শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পিছনের দরজা নিয়ে শাহজাহানকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে।
এদিকে আজ ৪টে ১৫ পার হওয়ার পরও শাহজাহানকে তুলে দেওয়া হয়নি। ফের আদালতের দ্বারস্থ ইডি। ৪.১৫-এর মধ্যে না তুলে দেওয়া হলে আদালতে তারা জানাবে বলে আগেই জানিয়েছিল ইডি। আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আদালতে এসে উপস্থিত আইনজীবীরা। বিচারপতিরা না থাকায় ফের এজলাসে বসতে অনুরোধ আইনজীবীদের।
বুধবারও সন্দেশখালি সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়নি সুপ্রিম কোর্টে। সংবিধান বেঞ্চের শুনানির পরই আজকের মত বন্ধ হয়ে যায় প্রধান বিচারপতির এজলাস। প্রধান বিচারপতির কোর্টরুমে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করছিলেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। সন্দেশখালির সিবিআই তদন্ত সংক্রান্ত ইস্যু মেনশন করার সুযোগ পেলেন না সিংভি।
এরপর বুধবার সকালে ইডি রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে ফের কলকাতা হাইকোর্টে যায়। ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। আদালত জানিয়ে দেয়, সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন মানেই হাইকোর্টের নির্দেশ স্থগিত হয়ে যায় না। ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় আজ ৪টে ১৫-র মধ্যে শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। যদিও তা হয়নি।
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন শেখ শাহজাহান ও এই সন্দেশখালি মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করার জন্য। সাড়ে ৪টে অবধি সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশের পরই সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। জরুরিভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানায়। যদিও মঙ্গলবার সেই শুনানি হয়নি। এদিকে সাড়ে ৪টেয় সিবিআই ভবানীভবন পৌঁছলে সুপ্রিম কোর্টে মামলার কথা জানিয়ে সিবিআইয়ের হাতে শাহজাহানকে তুলে দিতে অস্বীকার করে ভবানী ভবন।
কলকাতা: ৫৫ দিন ‘লুকিয়ে’ থাকার পর সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় রাজ্য পুলিশ। শাহজাহান-মামলার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। তারপর থেকে ভবানী ভবনে রয়েছেন শাহজাহান। এদিকে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে শাহজাহানকে। মঙ্গলবারের এই নির্দেশের পর থেকেই চলছে তোলপাড়। আজ বুধবার কি সিবিআই হেফাজতে পাবে শাহজাহানকে? নজর সেদিকেই।
জানুয়ারির ৫ তারিখে যে ঘটনার সূত্রপাত, ঠিক দু’ মাস পার করে ৬ মার্চ কেন্দ্রীয় এজেন্সি হাতে পেল শেখ শাহজাহানকে। তবে তাঁকে হাতে পেতে মঙ্গলবার ও বুধবার দফায় দফায় সিবিআই ও সিআইডির টানাপোড়েন নজরে এসেছে। হাইকোর্ট পর পর দু’বার হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়ার পর আজ রাত ৯টা ২২ মিনিটে শাহজাহানকে নিয়ে নিজাম প্যালেসে হাজির হয় সিবিআই। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে, প্রায় ১ প্ল্যাটুনের মতো সিআরপিএফ বাহিনীর উপস্থিতিতে শেখ শাহজাহানকে নিয়ে আসা হয়। এবার সিবিআই বের করবে এই ৫৬ দিন, রাজ্য পুলিশের হাতে ধরা না পড়া পর্যন্ত কোথায় ছিলেন তিনি, কার হেফাজতে?
জোকায় শারীরিক পরীক্ষা হল শেখ শাহজাহানের। এবার তাঁর ঠিকানা নিজাম প্যালেস। শাহজাহানকে ইএসআই হাসপাতাল থেকে বের করার সময়ই উঠল ‘ডাকাত’, ‘চোর’ স্লোগান।
কেন্দ্রীয় বাহিনীতে ঘিরে ফেলা হয়েছে নিজাম প্যালেস চত্বর। কলকাতা পুলিশ একের পর এক গার্ড রেল এনে শেখ শাহজাহানের প্রবেশপথ ঘিরে দিচ্ছে। সিআরপিএফ রয়েছে পর্যাপ্ত। আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। জোকায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর এখানে আনা হবে শাহজাহানকে।
সিবিআই মূলত শাহজাহানের কাছে জানতে চাইতে পারে, কেন তাঁর এলাকায় নিয়ে ইডি আধিকারিকদের হামলার শিকার হতে হল। ঘটনার মাস্টারমাইন্ড কে বা কারা? বারবার ইডি অভিযোগ তুলেছে, শাহজাহানকে অভিযানের দিন (৫ জানুয়ারি) তাঁর ফোন ব্যস্ত ছিল। বেশ কিছুক্ষণ ‘এনগেজ’ ছিল ফোন। সিবিআই জানতে চাইবে, কাকে বা কাদের ফোন করেছিলেন শাহজাহান?
অবশেষে সিবিআই হাতে পেল শেখ শাহজাহানকে। ভবানী ভবন থেকে সিবিআই বের করে নিয়ে গেল শাহজাহানকে। এর আগে সিআইডি তাঁকে এসএসকেএমে নিয়ে গিয়েছিল। কখন হস্তান্তর হবে শাহজাহানের, তা নিয়ে জোর টানাপোড়েন চলছিল। অবশেষে বুধবার ঘড়ির কাঁটা তখন সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৪৪ মিনিট, শাহজাহানকে বের করা হল ভবানী ভবন থেকে। সিআইডির মেডিক্যাল চেকআপ করিয়ে আনার পরই সিবিআই হাতে পায় সন্দেশখালির বাঘকে। এবার তাঁকে জোকা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হবে মেডিক্যালের জন্য। তারপর সেখান থেকে নিজাম প্যালেস।
আজই সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে শেখ শাহজাহানকে। সিআইডি সূত্রে খবর।
শেখ শাহজাহানকে নিয়ে যাওয়া হল এসএসকেএম। সিআইডি শাহজাহানকে নিয়ে এসএসকেএমে গেল। শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পিছনের দরজা নিয়ে শাহজাহানকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে।
এদিকে আজ ৪টে ১৫ পার হওয়ার পরও শাহজাহানকে তুলে দেওয়া হয়নি। ফের আদালতের দ্বারস্থ ইডি। ৪.১৫-এর মধ্যে না তুলে দেওয়া হলে আদালতে তারা জানাবে বলে আগেই জানিয়েছিল ইডি। আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আদালতে এসে উপস্থিত আইনজীবীরা। বিচারপতিরা না থাকায় ফের এজলাসে বসতে অনুরোধ আইনজীবীদের।
বুধবারও সন্দেশখালি সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়নি সুপ্রিম কোর্টে। সংবিধান বেঞ্চের শুনানির পরই আজকের মত বন্ধ হয়ে যায় প্রধান বিচারপতির এজলাস। প্রধান বিচারপতির কোর্টরুমে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করছিলেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। সন্দেশখালির সিবিআই তদন্ত সংক্রান্ত ইস্যু মেনশন করার সুযোগ পেলেন না সিংভি।
এরপর বুধবার সকালে ইডি রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে ফের কলকাতা হাইকোর্টে যায়। ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। আদালত জানিয়ে দেয়, সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন মানেই হাইকোর্টের নির্দেশ স্থগিত হয়ে যায় না। ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় আজ ৪টে ১৫-র মধ্যে শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। যদিও তা হয়নি।
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন শেখ শাহজাহান ও এই সন্দেশখালি মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করার জন্য। সাড়ে ৪টে অবধি সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশের পরই সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। জরুরিভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানায়। যদিও মঙ্গলবার সেই শুনানি হয়নি। এদিকে সাড়ে ৪টেয় সিবিআই ভবানীভবন পৌঁছলে সুপ্রিম কোর্টে মামলার কথা জানিয়ে সিবিআইয়ের হাতে শাহজাহানকে তুলে দিতে অস্বীকার করে ভবানী ভবন।