কলকাতা: তদন্তভার হাতে নেওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় আরজি কর কেসে প্রথম চার্জশিট দিয়ে দিল সিবিআই। ২০০ জনের সাক্ষী নিয়ে প্রায় ২০০ পাতার চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাতেই সমস্ত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত হিসাবে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকেই দেখানো হচ্ছে। মত্ত অহস্থায় সেই খুন-ধর্ষণ করেছিল। সূত্রের খবর, চার্জশিটে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু, এরপরেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে চিকিৎসক মহলে। চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলছেন, “মেয়েটি দুর্নীতি চক্রের বলি হয়েছে। শুরু থেকেই যা যা সামনে এসেছে, ময়নাতদন্তের যে রিপোর্ট সামনে এসেছে তা দেখে এটা পরিস্কার এর পিছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে একাধিক ব্যক্তি জড়িত। সিবিআই প্রকৃত সত্য সামনে আনবে। সেটাই আমাদের আশা।”
চিকিৎসক সংগঠনের নেতা উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “সিবিআই চার্জশিট যে দিয়েছে এটাই বড় আশার কথা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিশ্চয় দুষ্কৃতী চক্রের বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। যাঁরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, বা ঘটানোর জন্য সহায়ক ভূমিকা রেখেছিলেন, যাঁরা তথ্য প্রমাণ লোপাটের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, যাঁরা তদন্তকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন আমার আশা সিবিআই এদের সবার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেবে।” মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা।
এক আন্দোলনকারী চিকিৎসক বলছেন, “চার্জশিটে তথ্য প্রমাণ লোপাটের কথা স্বীকার করা হয়েছে। এটা পজেটিভ সাইড। আমরা আশা করব ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও স্বচ্ছতা আসবে।” আর একজন বলছেন, “সিভিককে দোষী বলা হচ্ছে। কিন্তু একজন মদ্যপ যুবকের পক্ষে কী এ ঘটনা একা ঘটানো সম্ভব? তাঁর শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। মাত্র ১০ ফুট দূরে কাজ করছিলেন হাসপাতালের কর্মীরা। সেখানে সেমিনার রুমে একজনের পক্ষে কী এটা করা সম্ভব? আমার তো মনে হয় না।”