কলকাতা: ভোট মেটার ৪ মাসের মাথায় বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন বাংলার সিংহভাগ বিজেপি (BJP) বিধায়করা (MLA)। সূত্রের খবর, বর্তমানে বঙ্গ বিজেপিতে থাকা মোট ৭১ জন বিধায়কের মধ্যে ৬১ জনের নিরাপত্তাই প্রত্যাহার করতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry)। ইতিমধ্য়েই এই মর্মে রাজ্য সরকারের (West Bengal Govt) কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নবান্নকে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার যেন এবার এই বিধায়কদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফৎ। তবে ৬১ জনের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হলেও রাজ্যের ১০ জন বিজেপি বিধায়কের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ফেরানো হচ্ছে না। যাঁদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর মতো বেশ কিছু হেভিওয়েট বিধায়ক থাকতে পারেন বলে খবর।
রাজ্যে ফলপ্রকাশের পর থেকেই যেভাবে হিংসার ঘটনা ছড়িয়েছে, সেই প্রেক্ষিতেই সমস্ত বিজেপি বিধায়কদের জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ভোট মেটার কয়েক মাস পরও হিংসার ঘটনার অব্যাহত ছিল। তাই নিরাপত্তাও মোতায়েন করে রেখেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই খুন ও ধর্ষণের মামলা, এবং সিট অন্যান্য হিংসার তদন্তভার গ্রহণ করতেই পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তারপরই নিরাপত্তা প্রত্য়াহার করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সরকার নিরাপত্তা ফিরিয়ে নিলেও এই বিধায়করা এখন নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়বেন এমন নয়। এবার রাজ্য় সরকারের দায়িত্ব হবে এই বিজেপি বিধায়কদের নিরাপত্তা দেওয়া। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও বিধায়ককে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া বা প্রত্যাহার করার সময় রাজ্যকে জানাতে হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। এ ক্ষেত্রেও সেই নিয়মই অনুসরণ করা হচ্ছে।
সূত্র জানাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে বর্তমানে এই ৬১ জন বিধায়ককে নিরাপত্তা দেওয়ার থেকেও অন্যদিকে বেশি নিরাপত্তা মোতায়েন করা প্রয়োজন। সেই কারণে এই ৬১ জনের নিরাপত্তার পিছনে যে রক্ষীদের প্রয়োজন পড়ছিল, তাদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই নিরাপত্তা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।
ভোটের আগে থেকেই বিজেপি প্রার্থীদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার রেওয়াজ চালু করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে ভোট মেটার মাসখানেকের মধ্যে সেই নিরাপত্তা কেবলই বিধায়কদের জন্য বরাদ্দ করে রাখা হয়েছিল। ভোটের পর থেকে যে ধরনের পরিস্থিতি রাজ্যে বিদ্যমান, সেই পরিপ্রেক্ষিতে আরও কয়েকমাসের নিরাপত্তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছি। কিন্তু এখন আর নিরাপত্তার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে না কেন্দ্র। সেই কারণেই এই নিরপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে উপনির্বাচন চেয়ে মুখ্যসচিব চিঠি দেন কী ভাবে? জনস্বার্থ মামলা দায়ের হাইকোর্টে
আরও পড়ুন: ‘একবার হারিয়েছি, আবার হারাব’, মমতা মাঠে নামতেই সতর্কতার ‘কার্ড’ দেখালেন দিলীপ