CEO on Mamata Banerjee: ‘ক্ষমতা নেই…’, মমতার নিয়োগ-অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সিইও
Mamata Banerjee Letters to ECI: সোমবার দুপুরে মমতার চিঠি। দিনের দিন বিকালেই সাংবাদিক বৈঠকে বসল রাজ্য়ের সিইও দফতর। মুখ্য়মন্ত্রীর পাঠানো চিঠি নিয়ে মুখ খুললেন সিইও মনোজ আগরওয়াল। মনে করালেন, একজন সিইও-র ক্ষমতার সীমা।

কলকাতা: দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে ফের চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ থেকে বেসরকারি আবাসনে ভোটকেন্দ্র তৈরি। মোট দু’টি জরুরি বিষয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) ভূমিকা নিয়েও।
সোমবার দুপুরে মমতার চিঠি। দিনের দিন বিকালেই সাংবাদিক বৈঠকে বসল রাজ্য়ের সিইও দফতর। মুখ্য়মন্ত্রীর পাঠানো চিঠি নিয়ে মুখ খুললেন সিইও মনোজ আগরওয়াল। মনে করালেন, একজন সিইও-র ক্ষমতার সীমা।
মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি
সোমবার কমিশনকে পাঠানো মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিতে মোট দু’টি বিষয় উল্লেখ রয়েছে। একটি হল ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ। অন্যটি হল, বেসরকারি আবাসনে ভোটকেন্দ্র তৈরি। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘চুক্তিভিত্তিক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের দিয়ে কাজ করানো যাবে না বলে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের কর্মীদের ডেটা এন্ট্রির কাজে যোগ দেওয়াতে নারাজ ছিল কমিশন। তারপরেও কীভাবে রাজ্যের সিইও ১ হাজার ডেটা এন্ট্রি অপারেটর এবং ৫০ জন সফ্টওয়্যার ডেভেলপার নিয়োগের টেন্ডার পাশ করলেন? এটা কি কোনও রাজনৈতিক দলের স্বার্থপূরণে নেওয়া সিদ্ধান্ত?’
পাশাপাশি, আবাসনে ভোটকেন্দ্র তৈরি নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। জ্ঞানেশ কুমারকে পাঠানো চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন বেসরকারি আবাসনগুলিতে ভোটকেন্দ্র তৈরির কথা ভাবছে। এটা কীভাবে সম্ভব? কোনও সরকারি বা আধা-সরকারি জায়গাতেই ভোটকেন্দ্র হওয়া প্রয়োজন।’
কী বললেন সিইও?
মুখ্য়মন্ত্রীর তোলা এই সকল অভিযোগকে এড়িয়ে নয়াদিল্লির দিকে বল ঠেলে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল। ভোটকেন্দ্রের প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি তিনি। বলেছেন, ‘কমিশনের সিদ্ধান্ত। সিইও-র এই সকল নীতি নির্ধারণের ক্ষমতা নেই।’ কিন্তু নিয়োগ সেই নিয়ে কী উত্তর তাঁর? মনোজ আগরওয়ালের সাফ কথা, ‘এটা কমিশনের সিদ্ধান্ত। ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজে চুক্তিভিত্তিক কর্মী ব্যবহার করা যায় না। এই বিষয়টা নির্বাচন কমিশন আগেও স্পষ্ট করেছে। কয়েক বছর আগেই এই চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়ে একটা অভিযোগ এসেছিল। তারপর থেকে কমিশন সাফ জানিয়ে দেয়, নির্বাচনের কাজে কোনও চুক্তিভিত্তিক কর্মীর ব্যবহার করা যাবে না।’
পাশাপাশি নতুন নিয়োগের টেন্ডার নয়াদিল্লির নির্দেশে দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন তিনি। এক্ষেত্রে বিহার মডেলের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। তিনি জানান, ‘বিহারে টেন্ডার দিয়ে ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ হয়েছে। তাই কমিশন বলল, এখানেও এই ভাবে করতে।’
