কলকাতা: তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে কি গুরুত্ব হারাচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর? লোকসভা ভোটে খারাপ ফলের জন্যই কি গুরুত্ব হারাল এই জেলা? কারণ, উপকূলের এই জেলা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাবিনেটে ছিলেন দু’জন মন্ত্রী। একজন অখিল গিরি। অন্য়জন বিপ্লব রায় চৌধুরী। বর্তমানে তা কমে দাঁড়াল একজনে। অর্থাৎ অখিলের হাত থেকে কারা দফতরের দায়িত্ব গেল বীরভূমের চন্দ্রনাথ সিনহার হাতে। এর আগে তিনি সামলাচ্ছিলেন ক্ষুদ্র- কুটির এবং বস্ত্র শিল্প দফতর। এ বার যোগ হল কারা দফতর। আর এখানেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। কারণ, অখিলের পদত্যাগের পর থেকে জেলাজুড়ে জল্পনা বাড়ছিল, হয়ত এবার এই দফতরের দায়িত্ব পেতে পারেন পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক। তবে তা হল না। দায়ভার বর্তাল বীরভূমে। কেন? বিরোধী দলনেতার গড় হিসাবে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরে মোটেই ভাল হয়নি ঘাসফুল শিবিরের। তমলুক এবং কাঁথি এই দুই লোকসভা কেন্দ্রেই ফুটেছে পদ্ম। অপরদিকে, কেষ্টহীন বীরভূমে দারুণ রেজাল্ট করেছে ঘাসফুল শিবির। শুধু কী তাই? যে দুবরাজপুর অনুব্রত থাকাকালীন বাগে আনতে পারেনি তৃণমূল এবার সেখানেও উড়েছে সবুজ আবির। তাহলে দলের ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারিই কাজ করল? ভাল ফল না করায় পূর্ব মেদিনীপুরকে ‘শাস্তি’? বীরভূমকে ‘পুরস্কার’ দিল নবান্ন?
কেন দফতর বদলালো?
সম্প্রতি, পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে গিয়ে বনদফতরের এক মহিলা আধিকারিককে হুমকি দেন অখিল গিরি।বলেন, “ভদ্রভাবে হবে না। যে ঠাকুর যে ফুলে সন্তুষ্ট। ডাং দিয়ে পিটাব, তখন বুঝবেন।” একজন সরকারি আধিকারিককে কুকথা বলায় তীব্র সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় গোটা রাজ্যজুড়ে। বিরোধী থেকে শুরু করে দলেরই একাংশ সরব হন অখিলের বিরুদ্ধে।
এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন অখিলকে ইস্তফা দিতে। সেই নির্দেশ মেনে বিধানসভায় পৌঁছন তিনি। জানান, মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ায় তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই। এরপর বেশ কয়েকদিন ধরে চলছিল জল্পনা। কে হবেন নতুন কারামন্ত্রী। অবশেষে জানা গেল সেই নাম। পশ্চিমবঙ্গে নতুন কারা মন্ত্রী হলেন চন্দ্রনাথ সিনহা।