BJP Bengal: বিজেপির রাজ্য কমিটিতে বড় রদবদল! প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে পারে আরএসএস

BJP State Committee: সংগঠনে কিছুটা রদবদল আনছে বিজেপি। দিপাবলীর পর সম্ভবত সেই বদল আনা হচ্ছে।

BJP Bengal: বিজেপির রাজ্য কমিটিতে বড় রদবদল! প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে পারে আরএসএস
রাজ্য সভাপতির পরই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পদ সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 02, 2021 | 3:53 PM

কলকাতা : চার কেন্দ্রেই ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির (BJP)। আর তারপরই জানা যাচ্ছে, রাজ্য বিজেপিতে আসছে বড়সড় সাংগঠনিক রদবদল। সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপিতে এবার সঙ্ঘের (RSS) প্রতিনিধিত্ব বাড়বে। তৈরি হচ্ছে নতুন পদ।

রাজ্য বিজেপিতে রাজ্য সভাপতি পদের পরই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পদ হল সাধারণ সম্পাদক ( সংগঠন)। সাধারণত সেই পদে সঙ্ঘের কোনও প্রচারককেই বসানো হয়। বর্তমানে এ রাজ্যে সেই পদে রয়েছেন অমিতাভ চক্রবর্তী। কিন্তু তাঁর কোনও সহকারী নেই। সূত্রের খব, এবার তাঁর দুজন সহকারী নিয়োগ করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের জন্য একজন ও দক্ষিণবঙ্গের জন্য একজনকে নিয়োগ করা হচ্ছে।

এর আগে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে সাধারণ সম্পাদক ( সংগঠন) পদে ছিলেন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। পরে সেই পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। টানা ৭ বছর রাজ্য বিজেপি-র এই পদে ছিলেন তিনি। কিন্তু তাল কাটে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে-আগে। সেই সময় যে কাঠামো ছিল, তাতে দুজন সহ সাধারণ সম্পাদক সংগঠন। কিন্তু, পরে সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।‌ এখন তিনি আরএসএসের প্রচারক হিসেবে কাজ করেন। দিপাবলীর পর সংগঠনে যে রদবদল আসবে, তাতে ফের দুজন সহকারী সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) আনা হবে বলে জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে আরও বেশি বুথ ভিত্তিক ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ করতে চলেছে বিজেপি।

কিছুদিন আগে রাজ্যের সংগঠন সম্পর্কে বলতে গিয়ে সুকান্ত বলেছিলেন, ‘বিধানসভার বাইরে আমি আর ভিতরে শুভেন্দু অধিকারী। আর সবার ওপরে রয়েছেন দিলীপ দা। এভাবেই আমাদের এগোতে হবে।’ আগামিদিনে রাজ্যে বিজেপি কোন কৌশল নিয়ে এগোবে, সেই ব্যাপারেই বার্তা দিয়েছিলেন দলীয় বিধায়কদের।

এ দিকে আজ চার রাজ্যের উপ নির্বাচনের ফলে প্রকট হয়েছে বিজেপির ভরাডুবি। শান্তিপুর বাদে বাকি তিন কেন্দ্রে জমানত জব্দ হয়েছে বিজেপির। যদিও ফল নিয়ে হতাশ নন বলে দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একা সাংসদ ছিলেন (তৃণমূলের)। সেখান থেকে তিনি ক্ষমতায় পৌঁছেছিলেন। সুতরাং, রাজনীতিতে হতাশা বলে কিছু হয়না। মমতার বোধহয় সে সময় ২৯ জন বিধায়ক ছিলেন। তাঁর চেয়ে আমরা ভাল জায়গায় আছি।”

আরও পড়ুন : ধোপে টিকল না বিতর্ক, বিজেপির জেতা কেন্দ্রেই জয় ছিনিয়ে নিল ঘাসফুল