রাজ্যে হদিশ মিলেছে প্রথখম ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের। যা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। দ্রুত সংক্রামক এই স্ট্রেইন নিয়ে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়, “ওমিক্রণ খুব বেশি ভয়ঙ্কর নয়। তবে আপনারা সকলে সতর্ক থাকুন।”
বুধবার পুরভোটের প্রচারে ফুলবাগানে জনসভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোয়া থেকে ফিরেই এই জনসভা থেকে ওমিক্রন নিয়ে রাজ্যবাসীকে সাবধান করলেন তিনি। তাঁর কথায়, “এবার ওমিক্রণ শুরু হয়েছে। আবু ধাবি থেকে একজন হায়দরাবাদ হয়ে কলকাতা এসেছে। একজন রোগী বিমানে থাকলে বাকি প্যাসেঞ্জাররা তাঁর সংস্পর্শে আসছে। তার পর তারা বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিশছে।” তবে করোনার নয়া স্ট্রেইন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার বদলে সতর্কতার বার্তা দেন মমতা।
মমতার কথায়, “ওমিক্রন মারাত্মক কিছু না। কিন্তু এটা ছোঁয়াচে বেশি। খুব বেশি ছড়িয়ে পড়ে। তবে আমরা কোভিড মোকাবিলা করেছি। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু- সবকিছু মোকাবিলা করেছি। শুধু এটাই বলব, আপনারা সতর্ক থাকুন।”
প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে এদিন প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে মুর্শিদাবাদে। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ওই ওমিক্রন আক্রান্তের বয়স মাত্র সাত বছর। সম্প্রতি সে আবু ধাবি থেকে হায়দরাবাদ হয়ে সে পরিবারের সঙ্গে মুর্শিদাবাদে নিজের বাড়িতে ফিরেছে বলে খবর।
এদিকে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১১ ডিসেম্বর আবু ধাবি থেকে এসে হায়দরাবাদে বিমানবন্দরে অবতরণ করে ওই শিশু ও তার বাবা-মা। হায়দরাবাদে দু’ দিন থাকার পর ১৪ ডিসেম্বর কলকাতায় ফেরে ওই পরিবার। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে তার পর তাঁরা মুর্শিদাবাদের বাড়িতে ফেরেন। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বাসিন্দা ওই পরিবার। তাঁদের সাত বছরের শিশুর দেহে ওমিক্রনের নয়া স্ট্রেইন মিলেছে।
এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর ওই শিশুকে দ্রুত আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়ার উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদের জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, আপাতত মুর্শিদাবাদ মাতৃসদনে আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে ওই শিশুকে। এর পর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও চিহ্নিত করা হবে। আবু ধাবি থেকে মুর্শিদাবাদ দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছে ওই পরিবার। তাই অনেকেই সংস্পর্শে এসেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মুর্শিদাবাদের জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, জেলার তরফে সবরকমের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে ওমিক্রন আক্রান্তের জন্য় উপযুক্ত ব্যবস্থা আছে কি না, সেই প্রশ্নও সামনে আসছে। তবে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ওই শিশুকে কী ভাবে তার পরিবার এতটা পথ নিয়ে এল, সেই প্রশ্ন উঠছে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ওমিক্রন পজিটিভ বালক কী ভাবে ফরাক্কা পৌঁছল? এই প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, ডোমেস্টিক উড়ানে আসায় নজরদারি এড়িয়ে গিয়েছে ওই বালক। প্রোটোকল মেনে আন্তর্জাতিক উড়ানে আসা যাত্রীদেরই পরীক্ষা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: UNESCO Durga Puja: বাঙালির গর্ব! ইউনেসকোর স্বীকৃতি পেল কলকাতার দুর্গাপুজো