কলকাতা: জেট গতিতে ছুটছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ। করোনার বাড়বাড়ন্তের মাঝে ফের আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকার। করোনা পরিস্থিতিতে সাংবাদিক বৈঠক রাজ্যের মুখ্যসচিব। ফের আংশিক লকডাউনের পথে রাজ্য? কী বার্তা দেবেন তিনি? সরকারি বুলেটিন অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে শনিবার সকাল ৯ টার মধ্যে কলকাতায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩৯৮ জন। স্বাস্থ্যকর্তারা বলছেন, পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উল্লেখ্য, কত নমুনা পাঠানো হচ্ছে আর কত নমুনা পরীক্ষার পর পজিটিভ হয়ে আসছে। কলকাতায় গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত স্পষ্ট বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক করে বড় ঘোষণা মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীর। জানালেন বিধিনিষেধের কথা।
সোমবার আর শুক্রবার দুদিন বিমান পরিষেবা পাওয়া যাবে। সপ্তাহের বাকি দিন বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ঘোষণা মুখ্যসচিবের
দোকানে বাজারে বেরলে মুখে মাস্ক থাকতেই হবে। না হলে কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। দায়িত্ব থাকবে সংশ্লিষ্ট বাজার কর্তৃপক্ষেরও। রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ জারি হবে।
শুধুমাত্র কো-মর্বিডিটি থাকলে হাসপাতালে ভর্তিতে জোর। এছাড়া হোম আইসোলেশনে জোর দেওয়ার কথা জানালেন মুখ্যসচিব।
ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে আশঙ্কা বা আতঙ্ক নয়, সাবধানী হওয়ার পরামর্শ মুখ্যসচিবের। রাত দশটার পর বন্ধ থাকবে শপিং মল। যে স্থানে করোনা সংক্রমণ দেখা যাবে, সেখানে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন তৈরি করা হবে। বললেন মুখ্যসচিব। হোম আইসোলেশনে জোর দেওয়ার বার্তা।
লোকাল ট্রেন সন্ধ্যে সাতটার পর বন্ধ থাকছে ৩ জানুয়ারি থেকে। পাশাপাশি অন্য সময় চলা ট্রেনে ৫০ শতাংশ যাত্রী তোলার নির্দেশ। সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মুখ্যসচিব।
সুইমিং পুল, স্পা, জিম, বিউটি পার্লার বন্ধ থাকবে ৩ জানুয়ারি থেকে। ট্যুরিস্ট স্পট বন্ধ থাকছে ৩ তারিখ থেকেই। শপিং মল, মার্কেট কমপ্লেক্সে থাকবেন ৫০ শতাংশ মানুষ। রাত দশটার পর বন্ধ থাকবে সিনেমা হল।
বিমান যাত্রীদের জন্য ১০০ শতাংশ আরটিপিসিআর টেস্ট। ৩ তারিখ থেকেই রাজ্যের স্কুল কলেজ বন্ধ থাকবে।