Bhatpara Bomb Blast: ভাটপাড়ায় বালকের মৃত্যুতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের
Bhatpara Bomb Blast: ভাটপাড়া ২৮ নম্বর রেলগেটের কাছে রেললাইনের দু'টি বোমা রাখা ছিল বলে জানা যায়। এদিকে সেটিকে দেখে বোমা বলে ঠাহর করতে পারেনি শিশুর দল। বোমাটিকে নিয়ে খেলতে শুরু করায় ঘটে যায় বিপত্তি।
কলকাতা: বোমা (Bhatpara bomb blast) ফেটে ৭ বছরের শিশুর মৃত্যুর পর থেকেই এদিন ফের দিনভর খবরে ভাটপাড়া। এদিকে এ ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হয়েছে আরও ২ শিশু। এ ঘটনাতেই এবার উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসক শরদ কুমার দ্বিবেদীর থেকে রিপোর্ট তলব তরল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন (Child Protection Commission)। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই জমা দিতে হবে এই রিপোর্ট। কমিশনের নির্দেশ এমনটাই। এমনকী এ প্রসঙ্গে যে নোটিশটি জারি করা হয়েছে তাতে এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে কী লেখা হয়েছে তাঁরও উল্লেখ করা হয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখেই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা যে বাঞ্চনীয়। তাও মনে করেছে কমিশন। সে কারণেই তলব করা হচ্ছে রিপোর্ট। লেখা রয়েছে এমনটাও।
একইসঙ্গে এই কঠিন সময়ে মৃত শিশুর পরিবারের পাশে যাতে স্থানীয় প্রশাসন দাঁড়ায় সে বিষয়টিও দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভাটপাড়া ২৮ নম্বর রেলগেটের কাছে রেললাইনের দু’টি বোমা রাখা ছিল বলে জানা যায়। এদিকে সেটিকে দেখে বোমা বলে ঠাহর করতে পারেনি শিশুর দল। তিন শিশু সেটিকে বল ভেবে খেলতে শুরু করে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। খেলার সময়ই আচমকা বিকট শব্দ করে ফেটে যায় বোমাটি। মৃত বালকের নাম নিখিল পাসোয়ান (৭ বছর)। ওই শিশুটি ছাড়াও এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
তবে এ ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও সেখানে আরও একটি তাজা বোমা পড়েছিল বলে জানা যায়। রেল পুলিশ নাকি রাজ্য পুলিশ, কারা উদ্ধার করে তা নিয়ে বাড়তে থাকে ধোঁয়াশা। শেষে এলাকায় আসে বোম স্কোয়াড। এদিকে ঘরের ছেলেকে হারিয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে নিখিলের পরিবারে। এলাকাতেও রয়েছে চাপা উত্তেজনা। প্রসঙ্গত, শিশু অধিকার রক্ষা আইন ২০০৫ বলেই এই জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন তৈরি করা হয়। নাবালকদের দ্বারা সংঘটিত অপারাধ থেকে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন সহ একাধিক বিষয়ের উপর নজর রাখে কেন্দ্রীয় সরকার অধীনস্থ এই কমিশন।