Health Department: সরকারের টাকার অভাবে বন্ধ ওষুধ! বিরল রোগে আক্রান্ত ক্ষুদেরা বাঁচার স্বপ্ন দেখবে কীভাবে?
Health Department: স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের বক্তব্য, বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুদের জন্য কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের কয়েক লক্ষাধিক টাকা পাওনা রয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের। সেই টাকা না পেলে চিকিৎসার জন্য দামী ওষুধ পাওয়া সম্ভব নয়।
কলকাতা: এ কেমন শিশু দিবস! সরকারি অনুষ্ঠান, রাজনীতির নেতাদের নানা কর্মসূচি শিশু দিবস ঘিরে। আর সে দিনই অর্থের অভাবে বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুর ওষুধ না পাওয়ায় এসএসকেএমের দরজায় দরজায় ঘুরতে হল পরিবারকে! কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। তবুও সেপ্টেম্বর থেকে ওষুধ পাচ্ছে না বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুরা। এই পরিস্থিতিতে কোল খালি হওয়ার আশঙ্কায় দিন গুনছেন বাবা-মায়েরা।
লড়াই সন্তানের জীবন দীর্ঘায়ু করার লড়াই লড়ছে পরিবার। সেই লড়াইয়ে উঠল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। মেহফুজ আলি (৯), ইমরান ঘোসি(৬), অদ্রিজা মুদি (৮), অরিজিৎ মণ্ডল- এরা সবাই বিরল রোগে আক্রান্ত। মেহফুজ-ইমরানের রোগের নাম এমপিএস টাইপ ওয়ান। অদ্রিজা, অরিজিৎ বিরল গাউচার ডিজিজে আক্রান্ত।
জিনগত এই রোগের কারণে শারীরিক বিকৃতির পাশাপাশি নানা অসুস্থতার শিকার এই খুদে প্রাণগুলি। হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে গত ফেব্রুয়ারি থেকে ওষুধ পেতে শুরু করেছিল মেহফুজরা। কিন্তু ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার টাকা মেটাতে না পারায় সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ ওষুধ। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরের কাছে ওষুধ কোম্পানির বকেয়া রয়েছে ১৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯২৩ টাকা। বিরল রোগে আক্রান্ত রোগীদের ওষুধ দেওয়ার প্রশ্নে এসএসকেএম হল নোভাল সেন্টার।
সূত্রের খবর, এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের কাছে বকেয়া রয়েছে ৭২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৩১৪ টাকা। স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের বক্তব্য, বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুদের জন্য কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের কয়েক লক্ষাধিক টাকা পাওনা রয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের। সেই টাকা না পেলে চিকিৎসার জন্য দামী ওষুধ পাওয়া সম্ভব নয়।
কেন্দ্র-রাজ্য এই টানাপড়েনে আক্রান্ত শিশুর বাবার আক্ষেপ, ‘ওষুধ না পেলে চোখের সামনে সন্তানদের হারাতে দেখতে হবে। ওষুধ পাওয়ার পর একটু। একটু করে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল। আশার আলো দেখতে পাচ্ছিলাম। এখন যখন শুনি ওষুধের প্রচুর দাম বলে সরকার দিতে চাইছে না। নিজেদের খুব অসহায় লাগে। শিশু দিবসে এই অসুস্থ শিশুগুলোর বাঁচার অধিকার কি সুনিশ্চিত করা যায় না?’