কলকাতা : বারুইপুরের ছাগল চোর সন্দেহে প্রোমোটারকে পিটিয়ে খুনের কিনারায় তৎপর রাজ্য। ঘটনার তদন্তভার হাতে নিলেন সিআইডির গোয়েন্দারা। প্রায় ৫০ দিন আগের ঘটনা। বাঁশদ্রোণী থানার অন্তর্গত বাঘাযতীন বিদ্যাসাগর কলোনির প্রোমোটার অভীক মুখোপাধ্যায়কে ছাগল চোর সন্দেহে পিটিয়ে মারেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি। সেই সময় থেকেই এই ছাগল চুরির তত্ত্ব মানতে নারাজ ছিলেন অভীক মুখোপাধ্যায়ের পরিবারের লোকেরা। পরিবারের দাবি, বুলেটে চেপে, গলায় সোনার চেন পরে, সঙ্গে ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে কোনও যুবক ছাগল চুরি করতে যাবে না। ওই মৃত যুবক পেশায় প্রোমোটার। এই খুনের পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে বলেই অভিযোগ করেছিলেন মৃত প্রোমোটারের পরিজনরা।
প্রথমে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল বারুইপুর থানার পুলিশ। কিন্তু শুরু থেকেই বারুইপুর থানার এই তদন্তে সন্তুষ্ট ছিলেন না মৃত প্রোমোটারের পরিবারের লোকেরা। তাঁরা প্রথম থেকেই সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এই পরিস্থিতিতে সিআইডি তদন্তভার নিজেদের হাতে নেওয়ার পর কিছুটা হলেও আশ্বস্ত অভিক মুখোপাধ্যায়ের পরিবারের লোকেরা। তাঁরা চান, সিআইডি যেন দ্রুত দোষীদের শাস্তি দেয় এবং তাঁরা আশাবাদী সিআইডি এই কাজ খুব তাড়াতাড়ি করবে।
উল্লেখ্য, ঘটনার দিন প্রোমোটার অভীক মুখোপাধ্যায় তাঁর বান্ধবীকে নিয়ে বুলেটে চড়ে ওই জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেই সময় অভীককে ছাগল চোর বলে সন্দেহ করে স্থানীয়দের একাংশ। তাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। তাতেই মৃত্যু হয় ওই প্রোমোটারের। বারুইপুুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পুলিশ এখনও পর্যন্ত অভীক মুখোপাধ্যায়কে খুনের ঘটনায় মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে এক মহিলাও রয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই পুলিশের তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন অভীক মুখোপাধ্যায়ের পরিবারের লোকেরা। এর পাশাপাশি ওই প্রোমোটারের বান্ধবী সেই সময় কী করছিল, তা নিয়েও বেশ কিছু ধোঁয়াশা রয়েছে। ওই যুবতির পরিবারের দাবি, তাঁর মানসিক অবস্থা ঠিক নেই। এমন বেশ কিছু ধোঁয়াশার মধ্যেই ছাগল চোর সন্দেহে প্রোমোটারকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় এবার তদন্তভার নিজেদের হাতে নিল সিআইডি।