পকেটমানি বাঁচিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে দান হাওড়ার ‘কন্যাশ্রী’র, মন্ত্রী বললেন, ‘অহনাই প্রেরণা’

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত

Aug 14, 2021 | 6:29 PM

কোনও সাহায্যই ছোট নয়। আর তা যদি হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে দেওয়া হয়, তবে অর্থের অঙ্কটা মূল্যহীন হয়ে পড়ে।

পকেটমানি বাঁচিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে দান হাওড়ার কন্যাশ্রীর, মন্ত্রী বললেন, অহনাই প্রেরণা
শশী পাঁজার সঙ্গে অহনা। নিজস্ব চিত্র

Follow Us

কলকাতা: বয়স কতই বা হবে, বড়জোড় ১৩ কি ১৪। কিন্তু এইটুকু বয়সেই সে দেখতে পাচ্ছে, করোনা পরিস্থিতি কী পরিমাণ বিপাকে ফেলে দিয়েছে হাজার হাজার মানুষকে। প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে গিয়ে কোষাগার টান পড়েছে রাজ্য সরকারেরও। মুখ্যমন্ত্রী প্রায়শই নবান্ন থেকে আবেদন জানাচ্ছেন, যে যেভাবে পারুন, কিছু পরিমাণ হলেও সাহায্য করুন। কারণ, কোনও সাহায্যই ছোট নয়। আর তা যদি হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে দেওয়া হয়, তবে অর্থের অঙ্কটা মূল্যহীন হয়ে পড়ে। ঠিক যেমনটা করে দেখাল হাওড়ার সারদা শিশু মন্দিরের ছাত্রী অহনা ভট্টাচার্য।

শনিবার কলকাতার রবীন্দ্র সদনে এ রাজ্যের কৃতী কন্যাশ্রীদের বিশেষ সংর্বধনা দেওয়ার আয়োজন করা হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। অষ্টম শ্রেণির অহনাও একজন কন্যাশ্রী। সে ক্যারাটে চ্যাম্পিয়ন। সেই কারণে তাঁকে সংবর্ধনা দেয় রাজ্য। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের নারী এবং শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি অহনার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার নেওয়ার সময় নিজেই মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করার ইচ্ছাপ্রকাশ করে ছোট্ট অহনা। কিন্তু এই বয়সে সে টাকা পেল কোথা থেকে? জানা গিয়েছে, নিজের পকেটমানি থেকে টাকা বাঁচিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এই সাহায্য করে অহনা।

ছোট্ট মেয়ের এই উদারতায় মুগ্ধ এবং আপ্লুত হন শশী পাঁজা নিজেও। আজকের ঘটনার পর মন্ত্রী বলেন, “আমরা জিতে গেলাম।” যে লক্ষ্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বাংলার মেয়েদের স্বনির্ভর করার উদ্দেশ্যে এই প্রকল্পের সূচনা আজ থেকে কয়েক বছর আগে করেছিলেন, সেই উদ্দেশ্য এবং এই প্রকল্প জিতে গেল বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি। শশীর কথায়, “অহনা আজ আমাদের চমকে দিল। মঞ্চে পুরস্কার নিতে এসে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে নিজের গচ্ছিত টাকা তুলে দিল। এটা নিশ্চিতভাবে কন্যাশ্রীর সফলতা। অহনাই আমাদের প্রেরণা জুগিয়েছে। ১৩ বছরের মেয়ে হয়ে দায়িত্ব নিয়ে বন্যায় দুর্গত এবং কোভিডে আক্রান্তদের পাশে ও দাঁড়িয়েছে। কন্যাশ্রী তো এই জন্যই। কন্যাশ্রী সফল হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সফল হয়েছেন।”

অন্যদিকে অহনা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলে, “আমাদের স্কুল থেকেও অনেকবার এরকম ত্রাণ গিয়েছে। তাই ভাবনাটা নিজের থেকেই এসেছিল। বাবা-মা’ও সবসময় বলেন, সবার সাহায্য করা উচিত। বন্যা হচ্ছে, করোনা হচ্ছে। মানুষ খাবে কী! এই অবস্থায় তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।” আরও পড়ুন: মহাত্মা গান্ধীকে ‘সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান’ দেওয়ার প্রস্তাব আমেরিকায়

Next Article