কলকাতা: বাবা মায়ের মধ্য়ে বনিবনা না হওয়ায় আলাদা থাকেন দম্পতি। মায়ের সঙ্গেই থাকে মেয়ে। এদিকে বাবা থাকেন দাদু ঠাকুমার সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে। শনিবার বাবাকে ফোনে না পেয়ে বাড়িওয়ালাকে ফোন করেছিলেন মেয়ে। তিনি দরজা ঠেলতেই দেখেন ভয়ঙ্কর দৃশ্য। ঘরের সিলিংয়ে ঝুলছে ভাড়াটে কাকিমার দেহ। তা দেখে ওই যুবক আর দরজা ঠেলেননি। খবর দেন পুলিশে। এরপর পুলিশ এসে ছেলেরও ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। দমদমের নারায়ণপুরের ঘটনা।
নারায়ণপুরের পূর্বায়নে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন রবি দাস। পরিবারের সদস্য বলতে স্ত্রী রেবেকা দাস (৬০) ও ছেলে রাজকুমার দাস (৪০)। রাজকুমারের বিয়েও হয়েছে। তবে পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রী ও কেষ্টপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। শনিবার সকালে রাজকুমারের মেয়ে বাবাকে ফোনে না পেয়ে বাড়িওয়ালাকে ফোন করেন। বাড়ির মালিকের ছেলে অঙ্কন রায়ের কথায়, “আমি বাইরে ছিলাম। যিনি মারা গিয়েছেন তাঁর মেয়ে আমাকে ফোনে জানায় বাবা ফোন ধরছে না। আমি ঘরে ফিরে ওদের দরজা ধাক্কা দিই। কিন্তু দরজা কেউ খোলেনি। এর পর সামান্য ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে যায়। দেখি ঝুলছে। তখন একটা বডি দেখলাম। পরে পুলিশ এসে ভিতরে ঢুকে দেখে আরেকটা বডিও রয়েছে।”
স্থানীয় এক বাসিন্দা মাধবী মল্লিক বলেন, “এসে দেখি ওই বুড়ি আর ছেলেটা ঝুলছে। এরপরই গাড়ি ভরে পুলিশ এল। দেহ দু’টো নামিয়ে ময়না তদন্তের জন্য পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এখানে মা, বাবা, ছেলে ভাড়া থাকত। ছেলের বউ আলাদা থাকত। বরের সঙ্গে খুব ঝামেলা ছিল বউয়ের। শাশুড়ির সঙ্গেও ঝামেলা চলত। ওরা প্রায় দু’বছর আলাদা থাকে। ওর নামে তো অনেক কিছু শুনিও।”
বাড়ির মালিকের স্ত্রীর কথায়, “নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করতেন রাজকুমার। সকাল থেকে এমনিও ওদের ঘরের দরজা বন্ধই থাকত। ওনার স্ত্রী কেষ্টপুরে থাকেন। আমি ওপরে থাকি। তাই খেয়ালও করিনি। কেষ্টপুর থেকে ওনার মেয়ে আমার ছেলেকে বলে বাবাকে ফোনে পাচ্ছে না। এরপরই দেখতে বলে। ছেলে তখন বাড়ি ছিল না। ঘরে এসে দরজা ঠেলে দেখে এই ঘটনা। দু’টো ফ্যানে দু’জন ঝুলছে। ওরা এমনি ভালই। কোনও ঝামেলা ছিল না তিন বছর ধরে ভাড়া থাকছে।”
পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, পারিবারিক অশান্তির কারণে রাজকুমার দাসের স্ত্রী এবং মেয়ে কেষ্টপুরের অন্যত্র একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। এছাড়াও আর্থিক অনটনে ভুগছিলেন রাজকুমার। মানসিক অবসাদের কারণেই আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে অনুমান পুলিশের। ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য দেহটি আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।” আরও পড়ুন: রেড রোডে ‘খেলা হবে’! স্বাধীনতা দিবসের ট্যাবলোজুড়ে এবার মমতার একাধিক প্রকল্প
কলকাতা: বাবা মায়ের মধ্য়ে বনিবনা না হওয়ায় আলাদা থাকেন দম্পতি। মায়ের সঙ্গেই থাকে মেয়ে। এদিকে বাবা থাকেন দাদু ঠাকুমার সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে। শনিবার বাবাকে ফোনে না পেয়ে বাড়িওয়ালাকে ফোন করেছিলেন মেয়ে। তিনি দরজা ঠেলতেই দেখেন ভয়ঙ্কর দৃশ্য। ঘরের সিলিংয়ে ঝুলছে ভাড়াটে কাকিমার দেহ। তা দেখে ওই যুবক আর দরজা ঠেলেননি। খবর দেন পুলিশে। এরপর পুলিশ এসে ছেলেরও ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। দমদমের নারায়ণপুরের ঘটনা।
নারায়ণপুরের পূর্বায়নে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন রবি দাস। পরিবারের সদস্য বলতে স্ত্রী রেবেকা দাস (৬০) ও ছেলে রাজকুমার দাস (৪০)। রাজকুমারের বিয়েও হয়েছে। তবে পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রী ও কেষ্টপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। শনিবার সকালে রাজকুমারের মেয়ে বাবাকে ফোনে না পেয়ে বাড়িওয়ালাকে ফোন করেন। বাড়ির মালিকের ছেলে অঙ্কন রায়ের কথায়, “আমি বাইরে ছিলাম। যিনি মারা গিয়েছেন তাঁর মেয়ে আমাকে ফোনে জানায় বাবা ফোন ধরছে না। আমি ঘরে ফিরে ওদের দরজা ধাক্কা দিই। কিন্তু দরজা কেউ খোলেনি। এর পর সামান্য ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে যায়। দেখি ঝুলছে। তখন একটা বডি দেখলাম। পরে পুলিশ এসে ভিতরে ঢুকে দেখে আরেকটা বডিও রয়েছে।”
স্থানীয় এক বাসিন্দা মাধবী মল্লিক বলেন, “এসে দেখি ওই বুড়ি আর ছেলেটা ঝুলছে। এরপরই গাড়ি ভরে পুলিশ এল। দেহ দু’টো নামিয়ে ময়না তদন্তের জন্য পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এখানে মা, বাবা, ছেলে ভাড়া থাকত। ছেলের বউ আলাদা থাকত। বরের সঙ্গে খুব ঝামেলা ছিল বউয়ের। শাশুড়ির সঙ্গেও ঝামেলা চলত। ওরা প্রায় দু’বছর আলাদা থাকে। ওর নামে তো অনেক কিছু শুনিও।”
বাড়ির মালিকের স্ত্রীর কথায়, “নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করতেন রাজকুমার। সকাল থেকে এমনিও ওদের ঘরের দরজা বন্ধই থাকত। ওনার স্ত্রী কেষ্টপুরে থাকেন। আমি ওপরে থাকি। তাই খেয়ালও করিনি। কেষ্টপুর থেকে ওনার মেয়ে আমার ছেলেকে বলে বাবাকে ফোনে পাচ্ছে না। এরপরই দেখতে বলে। ছেলে তখন বাড়ি ছিল না। ঘরে এসে দরজা ঠেলে দেখে এই ঘটনা। দু’টো ফ্যানে দু’জন ঝুলছে। ওরা এমনি ভালই। কোনও ঝামেলা ছিল না তিন বছর ধরে ভাড়া থাকছে।”
পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, পারিবারিক অশান্তির কারণে রাজকুমার দাসের স্ত্রী এবং মেয়ে কেষ্টপুরের অন্যত্র একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। এছাড়াও আর্থিক অনটনে ভুগছিলেন রাজকুমার। মানসিক অবসাদের কারণেই আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে অনুমান পুলিশের। ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য দেহটি আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।” আরও পড়ুন: রেড রোডে ‘খেলা হবে’! স্বাধীনতা দিবসের ট্যাবলোজুড়ে এবার মমতার একাধিক প্রকল্প