পিঠের ব্যাগটা এখনও পড়ে আছে মাটিতে, মহালয়ার সকালেই বাঁশদ্রোণীতে কিশোরকে পিষে দিল জেসিবি, ক্ষোভে ফুঁসছে জনতা
Bansdroni Accident: জানা গিয়েছে, ওই কিশোর টিউশনি পড়তে গিয়েছিল। কোচিং সেন্টারের বাইরেই জেসিবি এসে চাপা দেয় তাঁকে। গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে এলাকার মানুষ।
কলকাতা: মহালয়ার সকালেই মর্মান্তিক ঘটনা। জেসিবি চাপা দিয়ে দিল নবম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে। জানা গিয়েছে, ওই কিশোর টিউশনি পড়তে গিয়েছিল। কোচিং সেন্টারের বাইরেই জেসিবি এসে চাপা দেয় তাঁকে। গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকার মানুষ। ভাঙচুর করা হয় পেলোডারটি।
মৃত কিশোরের নাম সৌম্য শীল। গঙ্গাপুরী শিক্ষা সদন স্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল ওই কিশোর। তাঁর বাবা পেশায় রিক্সা চালক। বাঁশদ্রোণীতেই বাড়ি কিশোরের। আজ, বুধবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে, বাঁশদ্রোণীর থানার অধীনে ১১৩ নং ওয়ার্ডে দীনেশ নগর অটোস্ট্যান্ডের কাছে টিউশনি পড়তে গিয়েছিল ওই পড়ুয়া। সেই সময়ে জেসিবি এসে পিষে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, টিউশনি পড়তে যাচ্ছিল সৌম্য। জেসিবি আসতে দেখে, নারকেল গাছের পাশে সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে সে। কিন্তু জেসিবির ধাক্কায় মাটিতে ছিটকে পড়ে কিশোর। রক্তে ভেসে যায় গোটা চত্বর। স্থানীয় বাসিন্দারাই ওই কিশোরকে উদ্ধার করে বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এই খবরটিও পড়ুন
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই রাস্তার বেহাল দশা। প্রশাসনকে জানিয়েও বিশেষ কোনও লাভ হয়নি। সম্প্রতিই রাস্তা সারাইয়ের কাজ হচ্ছিল। রাস্তায় মাটি, স্টোনচিপ ফেলা ছিল। যার জেরে সাধারণ মানুষের চলাচলে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। আজকের এই দুর্ঘটনার পরও পুর-প্রতিনিধির দেখা মেলেনি বলেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশও দুর্ঘটনার দেড় ঘণ্টা পরে এসেছে বলে অভিযোগ। পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতেই এলাকাবাসীরা তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে, স্লোগান দিতে শুরু করে।