কলকাতা: চিকিৎসার জন্য দেশে নেই, দুবাইয়ে। তাই সোমবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। ইমেল করে তদন্তকারীদের জানালেন কয়লা-কাণ্ডে (Coal Scam) লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী গণেশ বাগাড়িয়া। তবে চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও নথি তিনি সিবিআইকে পাঠাননি। অন্যদিকে এদিনই গরুপাচার কাণ্ডে রাজ্য পুলিশের দুই কর্মীকে জেরা সিবিআইয়ের।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, একাধিক ভুয়ো সংস্থা রয়েছে গণেশের। মোটা টাকা কমিশন নিয়ে লালার কয়লা পাচারের কালো টাকা নিজের ওই ভুয়ো সংস্থাগুলির মাধ্যমে সাদা করতেন তিনি। গত মঙ্গলবার লেকটাউনের বাঙুর অ্যাভিনিউতে গণেশের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। সঙ্গে গণেশের আরও পাঁচ অফিসে অভিযান চালায় গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: রাজ্যপাল-সাক্ষাতের পরই জল্পনা জিইয়ে দিল্লির পথে সৌরভ
তদন্তের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি তাঁর বাড়ি ও অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে গণেশ বাড়িতে না থাকায় পরিবারের কাছে তাঁর হাজিরার নোটিস দেওয়া হয়। সোমবার সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয় ওই নোটিসে।
সিবিআই সূত্রে খবর, এরপরই শনিবার গণেশ একটি ইমেল পাঠান তদন্তকারীদের। লেখেন, দুবাইয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। তাই সোমবার হাজিরা দিতে পারবেন না। কিছুদিন সময়ও চেয়ে নেন তিনি। তবে এবার আর গণেশকে সময় দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এদিন হাজিরা না দিলে লালার মতোই তাঁর বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হবে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে খবর, কয়লাকাণ্ডে তারা তদন্তভার নেওয়ার আগেই গণেশের বাড়িতে হানা দেন আয়কর দফতরের প্রতিনিধিরা। প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করে সিবিআইয়ের হাতে তাঁরা তুলে দেন। এরপরই ভাবগতি ভালো না দেখে দুবাইতে পালায় গণেশ, দাবি গোয়েন্দাদের। লালা ঘনিষ্ঠ আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীকেও জেরা করার জন্য ইতিমধ্যে নোটিস দেওয়া হয়েছে। তাঁরাও দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলেই জানতে পেরেছে সিবিআই। প্রত্যেকেই কমিশনের বিনিময়ে লালার কালো টাকা সাদা করতেন বলে খবর।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন না মমতা
তবে গণেশ বাগাড়িয়ার দিকে সিবিআইয়ের নজর একটু বেশিই। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে, কয়লা পাচারের কালো টাকা গণেশের মাধ্যমেই নিজের ভুয়ো সংস্থায় ঘুরিয়ে কোনও এক প্রভাবশালীর কাছে পৌঁছে দিতেন লালা। কে সেই প্রভাবশালী? কত টাকা কীভাবে পৌঁছত সেই প্রভাবশালীর কাছে? সেই বিষয়গুলি জানার জন্যই গণেশকে জেরা করতে চায় গোয়েন্দারা। প্রয়োজনে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েও জেরা করতে পারে সিবিআই।