রাজ্যপাল-সাক্ষাতের পরই জল্পনা জিইয়ে দিল্লির পথে সৌরভ
আজ ফিরোজ শাহ কোটলায় অরুণ জেটলির মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠান। সেখানে এক মঞ্চে থাকতে পারেন অমিত শাহ ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
কলকাতা: জল্পনা জিইয়ে রেখেই দিল্লি উড়ে গেলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে বৈঠকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মহারাজের রাজধানী সফর ঘিরে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও সোমবার সকালে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সৌরভ জানালেন, দিল্লি ডিসট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই রাজধানীতে যাচ্ছেন তিনি। এর বাইরে আর কোনও পরিকল্পনা নেই। এদিন ফিরোজ শাহ কোটলায় অরুণ জেটলির মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠান। সেখানে এক মঞ্চে থাকার কথা অমিত শাহ ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। এই সাক্ষাতে ‘অন্য কিছু’ নিয়ে কথা হওয়ার সম্ভাবনা যে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন না মমতা
বছরের শেষ রবিবার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে চর্চা চরমে। এরইমধ্যে খবর এল, রাজভবনে যাচ্ছেন সৌরভ। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে তাঁর একান্ত সাক্ষাৎ। মুহূর্তে পুরো লাইম লাইট নিজের দিকে কেড়ে নিলেন ‘দাদা’। এরপরই রাজ্যপালের দরবারে সৌরভের ‘হাজিরা’ ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যদিও ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিটের বৈঠক শেষে বেরিয়ে সৌরভ বলেন, রাজ্যপাল ইডেন গার্ডেন্স দেখেননি এখনও। ঘুরে দেখতে চান। তা নিয়েই কথা হচ্ছিল। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ের আলোচনায় শুধুই ইডেন গার্ডেন্স! জল্পনা সঙ্গী করেই এই সাক্ষাতের কয়েক ঘণ্টা পর সোমবার দিল্লির পথে পা বাড়ান সৌরভ। তবে সকালেও বিমানবন্দরে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সৌরভ বলেন, জল্পনার কোনও জায়গাই নেই। পাল্টা প্রশ্ন ছোড়েন মহারাজই, “আমি লোকের সঙ্গে দেখা করতে পারি না?”
আরও পড়ুন: কী নিয়ে কথা হল রাজ্যপালের সঙ্গে? রাজভবন থেকে বেরিয়ে রহস্য বাড়ালেন সৌরভ
কিন্তু এই সাক্ষাৎকে এতটাও সহজ করে দেখতে নারাজ রাজনৈতিক মহল। বিশেষ করে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতাকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, বিজেপি এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়ে গুঞ্জন আজকের নয়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সৌরভের বাঙালিয়ানায় ভর করে বিজেপি বাংলা জয়ের স্বপ্ন দেখতেই পারে।
২০১৯ সালের অক্টোবরে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেছিলেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁদের কোনও আলোচনাই হয়নি ঠিকই। তবে সৌরভও যে বিজেপিতে আসতে চান না, এমন কোনও কথাও বলেননি। সে সময় থেকেই জল্পনার জাল বোনা শুরু। মাঝে এই একটা বছরে অনেক কিছু বদলেছে। বিসিসিআই সভাপতি হয়েছেন বাঙালি ‘মহারাজ’। তাঁর হাত ধরে ভারতীয় ক্রিকেটে সাফল্যের নতুন নতুন পালক যুক্ত হয়েছে। বাংলার এমন গর্বকে দলে টানতে তো সকলেই চাইবেন। কিন্তু ‘দাদা’র মাস্টার স্ট্রোকটা এখনও ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।