CM Mamata Banerjee: ‘ভবানীপুর পুরো বহিরাগতদের দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে’, উদ্বেগ মমতার গলায়
Kolkata: মমতা বলেন, "আমি দেখছি অনেক এলাকায় গরিব মানুষের বস্তি ভেঙে বড় বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। আমি এটা সাপোর্ট করি না। আমাদের ভোটারদের তাড়িয়ে দিচ্ছে। আমি তো বাংলার বাড়ি করে দিতে পারি। গরিব মানুষদের নিরাপত্তা দিলে কোনও অসুবিধা নেই।"

কলকাতা: মিটেছে দুর্গাপুজো। চলছে রাজনৈতিক দলগুলির বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান। আর সেখান থেকে কর্মীদের উদ্দেশ্যে দুই যুযুধান রাজনৈতিক দলের একটাই বার্তা ঘর ‘গোছাও…ঘর গোছাও…ভোট আসছে।’ তৃণমূল যেমন জেলায়-জেলায় বার্তা বিজয়া সারছে, তেমনই বিজেপিও বিজয়া সম্মিলনী করছে। আর আজ নিজের কেন্দ্র অর্থাৎ ভবানীপুরে বিজয়া সম্মিলনী সারলেন সেখানকার বিধায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পাহাড় থেকে মোবাইলে বার্তা দিয়েছেন কর্মীদের। কিন্তু সেখানেই তাঁর গলায় শোনা গেল উদ্বেগের কথা।
কী সেই উদ্বেগের বার্তা?
ফোনে ভবানীপুরের বিধায়ক ‘বহিরাগত’ উদ্বেগ নিয়ে প্রকাশ করেছেন। তিনি বলছেন, ভবানীপুরে বহিরাগতদের দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গরিবদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মমতা বলেন, “আমি দেখছি অনেক এলাকায় গরিব মানুষের বস্তি ভেঙে বড় বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। আমি এটা সাপোর্ট করি না। আমাদের ভোটারদের তাড়িয়ে দিচ্ছে। আমি তো বাংলার বাড়ি করে দিতে পারি। গরিব মানুষদের নিরাপত্তা দিলে কোনও অসুবিধা নেই। অনেক হিন্দি-বাংলাভাষী মানুষ আছেন…ভবানীপুর পুরো বহিরাগতদের দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুরো প্ল্যানিং করে। আমি কিন্তু যাঁরা বাংলায় থাকেন তাঁদের আউট সাইডার বলছি না।”
ভবানীপুর যে রাজ্যের হাইভোল্টেজ বিধানসভা কেন্দ্র তা নিয়ে দ্বিমত নেই। বিরোধী দলনেতাকে একাধিকবার বলতে শোনা গিয়েছে যে, তিনি বা তাঁর প্রতিনিধি এই ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাবেন। শুভেন্দু বলেন, “নন্দীগ্রামে হারিয়েছি, ভবনীপুরেও হারাব।” এবার সেখানকারই বিধায়কের অভিযোগ, লোকজনকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অবাক করা বিষয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এই এলাকার বাসিন্দা। প্রশ্ন উঠছে কারা সরিয়ে দিচ্ছে তাহলে তাঁর ভোটারদের?
ফিরহাদ হাকিম আবার বলেন, “পাগল-ছাগল অনেকে আছে যারা বলতে থাকে আলিপুরে আমরা জিতব। বলতে থাকে ভবানীপুরে আমাদের তৃণমূলকে হারাবে। তাদের পাগল/ ছাগল ছাড়া কিছুই বলা যায় না। কিন্তু ভবানীপুরের মানুষের গর্ব তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে ভোট দিই। আমরা ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের যে সব একাধিক ওয়ার্ডের মানুষ আছেন তাঁদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের গর্বিত করেছেন। আমাদের ভোটে তিনি মুখ্যমন্ত্রী করেছেন। আমাদের কাছে গর্ব, সম্মান — আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে কাজ করতে পারব। ভোট করতে পারব। আর যাঁরা এই সব কথা বলেন, তাঁদের বলব রাতের অন্ধকারে হাত করে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে SIR করে ভোট চুরি করতে চাইছে, তাদের বলব নির্বাচন কমিশন শেষ কথা নয়। সাধারণ মানুষ শেষ কথা বলবে।”
