কলকাতা: কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের (পার) অধীনে যেতে চলেছে হিডকো! দায়িত্ব নিজের হাতে রাখতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। চর্চা পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর জুড়ে। বর্তমানে হিডকো পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীন। যদিও নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসেনি।
সূত্রের দাবি, তাঁর এই সিদ্ধান্ত পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে হিডকোর চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। এখন হিডকো কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের (পার) অধীনে চলে এলে চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তন হতে পারে। সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে চেয়ারম্যান হবেন নাকি অন্য কাউকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে সূত্রের খবর, হিডকো এবার থেকে দেখতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীই। হিডকোর অধীনেই তৈরি হচ্ছে দিঘার জগন্নাথ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। যা আদতে মন্দির বলেই পরিচিতি পাচ্ছে। তার ট্রাস্টি বোর্ড এখনও গঠন হয়নি। সেই বোর্ডে ফিরহাদ হাকিম থাকলে তা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে বলেই মত রাজনীতির কারবারিদের। কারণ, সম্প্রতি ফিরহাদ হাকিম সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু নিয়ে মন্তব্য করেছেন। যা নিয়ে বিতর্কের জল ইতিমধ্যেই বহুদূর গড়িয়েছে।
এহেন আবহে দীঘার জগন্নাথ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আদতে যা মন্দির। সেখানে ট্রাস্টি বোর্ডে হিডকো চেয়ারম্যান হিসাবে ফিরহাদ হাকিম থাকলে বিতর্ক হত। তাই কি এভাবে হিডকোকে কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর বা পারের অধীনে আনতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? প্রশ্ন ঘুরছে।