কলকাতা: বছর শেষ হতে আর কয়েকদিন বাকি। আর বছরের শুরুতে তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। রাস্তায় নেমেছিলেন মহিলারা। সেইসময় প্রশ্ন উঠেছিল, মুখ্যমন্ত্রী কেন সন্দেশখালি যাচ্ছেন না? সেই উত্তপ্ত পরিস্থিতির কয়েক মাস পর সন্দেশখালি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে নিজেই সেকথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নির্বাচনের আগে অনেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, দিদি আপনি সন্দেশখালি গেলেন না? আমি বলেছিলাম, পরে যাব। আগামী ৩০ ডিসেম্বর বেলা ১টায় সরকারি ডিস্ট্রিবিউশন কর্মসূচিতে সন্দেশখালি যাব। সরকারের বিভিন্ন পরিষেবা মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে।” ২০ হাজার মানুষকে সরকারি পরিষেবা দেওয়া হবে।
চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল ইডি। এরপর শাহজাহানের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠে। রাস্তায় নামেন মহিলারা। অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্যের শাসকদল। বিরোধীরা সরব হয়। এমনকি, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে সন্দেশখালির ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি পরে সন্দেশখালি যাবেন। আর বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে জানালেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর সন্দেশখালিতে সরকারি কর্মসূচিতে পা রাখবেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, আলিপুর চিড়িয়াখানার উল্টোদিকে ছোট অ্যাকোয়ারিয়াম ছিল। অনেক দিনের পুরনো। ওখানে একটা বড় বিগ বাজার করা হবে। ক্যাবিনেটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ছোট অ্যাকোয়ারিয়াম ওখানে থাকবে। একইসঙ্গে তিনি জানান, আলিপুর মিউজিয়ামের উল্টোদিকে একটা বড় পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে। সেখানে লেদারের সামগ্রী নিয়ে একটি অর্ধেক লেদার হাব এবং বাকি অংশে বাংলার শাড়ি থাকবে।
জেলার মানুষের আয় বাড়াতে নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কলকাতাকে বাদ দিয়ে অন্য জেলায় সব জেলার হেড কোয়ার্টারে একটা বড় করে শপিং মল করা হবে। সরকার এক একর জমি দেবে। দুটো তলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দিতে হবে। বাকি যে কটা তলা হবে, সেগুলো বাজার হবে। তার উপর সিনেমা হল, নীচে কার পার্কিং এবং একটা খাবারের জায়গা করা হবে।
গঙ্গাসাগর মেলার কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগামী ৬ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর যাব। প্রথমেই যাব ভারত সেবাশ্রম।” ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হবে বলে জানালেন মমতা।