Calcutta High Court: সরকারকে ভুল বুঝিয়ে জমি বিক্রি? ৭ দিনের ‘ডেডলাইন’, জল গড়াতে পারে কলকাতা হাইকোর্টে
Calcutta High Court: মহিলার হয়ে লড়ছেন আইনজীবী অরিন্দম দাস। প্রয়োজনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। পাল্টা নোটিস গিয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের কাছে। সেখানেও তোলা হয়েছে গুরুতর অভিযোগ।
কলকাতা: জমি কিনেছিল রাজ্য সরকার। যাঁর থেকে কিনেছিল তাঁকেই কাঠগড়ায় তুলেছে জেলা প্রশাসন। শেষে ফাঁপড়ে পড়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই বিক্রেতা। সূত্রের খবর, নিরক্ষর এক মহিলার থেকে প্রায় দেড় বিঘা জমি কিনেছিল রাজ্য সরকার। প্রায় এক বছর আগে কেনা সেই জমির নতুন দলিলও তৈরি হয়ে গিয়েছে। হঠাৎ মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন ওই মহিলাকেই অভিযুক্ত করে কাঠগড়ায় তুলেছে। গুরুতর অভিযোগ করেছেন অতিরিক্ত জেলা শাসক।
তাঁর অভিযোগ, কামেলা বিবি নামে ওই মহিলা ভুল বুঝিয়ে বেশি জমি তাদের ব্লক ভূমি সংস্কারের অধিকারীকে বিক্রি করে দিয়েছেন। এদিকে অত জমি তাঁদের প্রয়োজন নেই। এখন তাঁর দাবি, সেই অর্ধেক জমি ফিরিয়ে নিয়ে, জমির জন্য প্রাপ্ত টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে সরকারকে। সেই মর্মে ওই মহিলার কাছে গিয়েছে চিঠিও। হতভম্ব মহিলার পরিবার।
মহিলার হয়ে লড়ছেন আইনজীবী অরিন্দম দাস। প্রয়োজনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। পাল্টা নোটিস গিয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের কাছে। সেখানেও তোলা হয়েছে গুরুতর অভিযোগ। সাফ বলা হচ্ছ, একজন নিরক্ষর গ্রাম্য মহিলা একটা সরকারের প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে জমি বিক্রি করে দিল! এটা কতটা বাস্তব? এখানেই না থেমে আরও বলা হচ্ছে, যে আইনে রাজ্য সরকার জমি কিনেছে সেই আইনই বলছে টাকা ফিরিয়ে দেওয়া আর সম্ভব নয়।
জেলা প্রশাসেনর তরফে পাঠানো ওই চিঠি ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সাতদিনের সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে সমাধান না হলে হাইকোর্টে মামলা করার কথা জানাচ্ছেন তিনি। পাল্টা প্রশাসন তুলেছেন সরকারি আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে। অরিন্দমবাবুর সাফ কথা, “সরকারি কাজ সম্পর্কে তাঁরা কতটা ওয়াকিবহাল তাঁদের এই কাজ থেকেই বোঝা যাচ্ছে। একজন নিরক্ষর মহিলার ঘাড়ে দায় চাপিয়ে ক্রুটি ঢাকার চেষ্টা করা হচ্ছে।”