Rajarhat Construction Worker Death: প্রাণ হাতে নিয়ে নির্মীয়মান বহুতলে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ! হাইড্রোলিকের তার ছিঁড়ে মৃত্যু শ্রমিকের

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Feb 18, 2022 | 3:44 PM

Rajarhat Construction worker death: কেন এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করার সময় ঠিকা শ্রমিকদের কারও পরনে বা মাথায় কোনওরকম সুরক্ষা সামগ্রী ছিল না, সেই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।

Rajarhat Construction Worker Death: প্রাণ হাতে নিয়ে নির্মীয়মান বহুতলে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ! হাইড্রোলিকের তার ছিঁড়ে মৃত্যু শ্রমিকের
রাজারহাটে মৃত্যু ঠিকা শ্রমিকের (প্রতীকী ছবি)

Follow Us

কলকাতা : রাজারহাটে বহুতলে দুর্ঘটনা (Construction worker death Rajarhat)। যন্ত্রাংশ মাথায় পড়ে মৃত্যু হল এক ঠিকা শ্রমিকের। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রাজারহাট রোডের জগারডাঙা এলাকায়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, নির্মীয়মান ওই বহুতল আবাসনে কাজ করার সময় পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী (Safety equipment) না থাকার ফলেই এই দুর্ঘটনা। কাজের সময় হাইড্রোলিক মেশিন ভেঙে পড়ে ওই ঠিকা শ্রমিকের মাথায়। আর তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। দুর্ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই নির্মীয়মান বহুতলগুলিতে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে গাফিলতি ঘিরে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন উঠে এসেছে। মৃত ওই ঠিকা শ্রমিকের নাম প্রবাস মহালদার। বাড়ি গৌরাঙ্গনগর এলাকায়। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল, তার তদন্ত শুরু করেছে নারায়ণপুর থানার পুলিশ।

এখনও পর্যন্ত যা খবর, নির্মীয়মান বহুতল আবাসনে কাজ করার সময় কোনওরকম সুরক্ষা বলয় না থাকার ফলেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানে কাজের জন্য ইমারতি সামগ্রী তোলা হচ্ছিল। আর সেই সময়েই হাইড্রোলিক মেশিনের তার ছিঁড়ে যায় এবং ওই হাইড্রোলিকের যন্ত্রাংশ মাথার উপর পড়ে কর্মরত ঠিকা শ্রমিক প্রবাস মহালদারের। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বাগুইআটির ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে নারায়ণপুর থানার পুলিশ।পুলিশ এসে প্রথমেই নির্মীয়মান ওই বহুতলের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। দুর্ঘটনার বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা।

নির্মীয়মান ওই বহুতলে কাজের সময় কোওনরকম সুরক্ষা সরঞ্জাম ছিল না বলে স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। সমস্ত ঘটনার তদন্তে নেমেছে নারায়ণপুর থানার পুলিশ। উল্লেখ্য, শুক্রবারের এই দুর্ঘটনা আবারও চোখে আঙুল দিয়েছে, কীভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন শহর ও শহরতলির ঠিকা শ্রমিকরা। কেন এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করার সময় ঠিকা শ্রমিকদের কারও পরনে বা মাথায় কোনওরকম সুরক্ষা সামগ্রী ছিল না, সেই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।

আরও পড়ুন : RSS Sakha: হঠাৎ করে রাজ্যে বন্ধ আরএসএসের হাজারখানেক শাখা! নেপথ্যে কি বিজেপির কোন্দল?’

আরও পড়ুন : Asha Workers Agitation: ন্যূনতম বেতন ২১ হাজার! ধর্মতলায় আজ বেগুনি মিছিল

Next Article