দেশে ফের কিছুটা বাড়ল দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ হাজার ৮৯২ জন, যা গতকালের তুলনায় প্রায় ২ হাজার বেশি। সংক্রমণের কারণে একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ৮১৭ জনের। অন্যদিকে, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৪ হাজার ২৯১ জন। এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল যথাক্রমে ৩ কোটি ৭ লক্ষ ৯ হাজার ৫৫৭ ও ৪ লক্ষ ৫ হাজার ২৮-এ। দেশে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ২ কোটি ৯৮ লক্ষ ৪৩ হাজার ৮২৫। বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৬০ হাজার ৭০৪। করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জেনে নিন একনজরে-
ফের একবার হাজারের নীচেই রইল রাজ্যের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার কোনও জেলাতেই সংক্রমণ ১০০ পেরোয়নি। বুধবারের তুলনায় টেস্ট বাড়লেও সংক্রমণে আহামরি কোনও বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে, আক্রান্তের সংখ্যা ১০০-র নীচে নামলেও সংক্রমণের শীর্ষে এখনও রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। যে কারণে জেলার বেশ কয়েকটি জায়গাকে চিহ্নিত করে মাইক্রো কন্টেনমেন্টে জোনে পরিণত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যে নতুন করে ৯৯৫ জন করোনা আক্রান্ত ধরা পড়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। একই সময়ের মধ্যে ৪৯ হাজার ৮৪২ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। একদিনে সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৯০ জন। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছে ১৬ হাজার ১৪৩। সুস্থতার হার বেড়ে ৯৭.৭৫ শতাংশ। পজিটিভিটির হার কমে হয়েছে ২ শতাংশ। পশ্চিম মেদিনীপুর বাদে উত্তর ২৪ পরগনা, দার্জিলিং ও কলকাতার দৈনিক সংক্রমণ ৯০-এর কাছাকাছি। একদিনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে জলপাইগুড়িতে।
সবিস্তারে পড়ুন: জলপাইগুড়িতে মৃত্যু শূন্য থেকে বেড়ে ৪, এখনও সংক্রমণের শীর্ষে পশ্চিম মেদিনীপুর
অনুমোদন প্রাপ্ত করোনা টিকাগুলির উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি টিকা অনুমোদন প্রক্রিয়াতে বড়সড় পরিবর্তন আনতে চলেছে কেন্দ্র। সূত্র অনুযায়ী, ভারতে ফাইজ়ার (Pfizer) ও মর্ডানা(Moderna)-র টিকার অনুমোদনের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণে ছাড় দেওয়া হতে পারে। এই বিষয়ে বিগত মাস থেকেই আলোচনা শুরু হলেও এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
Discussions are still going on over Indemnity to Moderna: Sources#COVID19
— ANI (@ANI) July 8, 2021
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ যখন শীর্ষ সীমায় পৌঁছেছিল, সে সময়ে উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh) ও বিহারে (Bihar) গঙ্গানদীতে ভাসতে দেখা গিয়েছিল হাজার হাজার মৃতদেহ। সন্দেহ ছিল, করোনায় মৃতের সংখ্যা লুকোতেই গঙ্গায় দেহ ভাসিয়ে গিয়েছিল দুই রাজ্য। এরপরই নদীর জলেও করোনাভাইরাস (COVID-19) ছড়িয়ে পড়েছে কিনা, তা জানার জন্য সরকারের তরফে গবেষণা করা হয়। সম্প্রতি প্রকাশিত সেই গবেষণায় জানানো হয়েছে যে, গঙ্গার জলে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েনি।
বিস্তারিত পড়ুন: গঙ্গাজলে ‘পরিশুদ্ধ’ করোনাও, নদীর জলের নমুনায় মিলল না মারণ ভাইরাসের উপস্থিতি
করোনা সংক্রমণের জেরে গোটা বিশ্বে ৪০ লক্ষ মানুষের প্রাণ গিয়েছে এখনও অবধি। রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তেনিও গাতেরাস এ দিন টুইট করে বলেন, “এই সংখ্যাটি এমন একটি মাইলফলক, যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে এখনও করোনার বিরুদ্ধে অনেক দূর পথ চলা বাকি।”
"Four million people have now lost their lives as a result of #COVID19. This painful milestone is a reminder of the long way we still have to go to defeat the pandemic…," tweets Secretary-General of the UN, António Guterres. pic.twitter.com/mLyO5Wvgut
— ANI (@ANI) July 8, 2021