Tab Scam: ১০ হাজারে তিনশোর কমিশন, ভাড়ায় খাটছিল অ্যাকাউন্ট? ট্যাব তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য লালবাজারের হাতে
Tab Scam: ইতিমধ্যেই চোপড়া থেকে ধৃত ২ জনকে এদিন তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ড পাওয়া গিয়েছে। কমিশনের ভিত্তিতে এদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে বলেই প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
কলকাতা: ট্যাব দুর্নীতি নিয়ে শোরগোল চলছেই। তেড়েফুঁড়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। কলকাতা থেকে অন্য জেলা, সর্বত্র তল্লাশি-ধরপাকড়। সূত্রের খবর, ট্যাবের টাকা দুর্নীতি নিয়ে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে মোট ৫৬ টা FIR হয়েছে। এর মধ্যে শিলিগুড়িতে ২টি, ইসলামপুরে ৪টি, কালিম্পংয়ে ৩টি, আসানসোল দুর্গাপুরে ১টি, হাওড়ায় ৪টি, বীরভূমে ১টি, বাঁকুড়াতে ১টি, মুর্শিদাবাদে ৩, ঝাড়গ্রাম সবথেকে বেশি। সংখ্যাটা ১০। এছাড়াও চন্দননগর, ব্যারাকপুর , বসিরহাট , বারাসত, মালদহে অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগ জমা পড়েছে শহর কলকাতাতেও।
ইতিমধ্যেই চোপড়া থেকে ধৃত ২ জনকে এদিন তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ড পাওয়া গিয়েছে। কমিশনের ভিত্তিতে এদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে বলেই প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। এদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কারা ব্যবহার করেছিলেন, কার নির্দেশে ব্যবহার করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপশি ফরেন্সিক অডিট করা হচ্ছে বলেই লালবাজার সূত্রে খবর। এদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে ঢুকেছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। পরিবর্তে ৩০০ টাকা কমিশন গিয়েছে পকেটে। তবে চোপড়া এলাকায় থাকলেও দু’জনের কেউ কাউকে চিনতেন না।
অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত আবার সরশুনাতেই ৩১ টি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি বেনিয়াপুকুর থানায় ৫ টা অভিযোগ হয়েছে। মানিকতলায় ২ টি অভিযোগ। ওয়াটগঞ্জেও ২ টি অভিযোগ। কসবায় ১০ টি অভিযোগ। যাদবপুরে ১২ টি অভিযোগ জমা হয়েছে এখনও পর্যন্ত।
লালবাজার সূত্রে খবর, এখনো পর্যন্ত তদন্তে দেখা যাচ্ছে, যাদের অ্যাকাউন্ট কমিশনের ভিত্তিতে ব্যবহার করা হয়েছে, সব ক্ষেত্রেই একটি করেই ট্যাবের টাকা ঢুকেছে। সরশুনা থানার ৩১ জন অভিযোগকারীর ট্যাবের টাকা অধিকাংশই চোপড়া ও সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন একাউন্টে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। খোঁজ চলছে বাকিদের।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)