Sabyasachi Dutta: ‘আদালতেরও বা কী ক্ষমতা রয়েছে? সবটাই আই ওয়্যাশ!’, মেয়রের ভূমিকা তুলে বিস্ফোরক সব্যসাচী দত্ত

Sabyasachi Dutta: আদালতের নির্দেশ প্রসঙ্গেও সন্ধিহান তিনি। বলেন, "আদালত নির্দেশ দিয়েছে। আদালত বলছে, কিন্তু তারও কী করার ক্ষমতা রয়েছে? জানি না। কিছুই হবে না। আই ওয়্যাশ। কে কোথায় রিপোর্ট দেবে, জানি না। আমিও একসময়ে মেয়র ছিলাম, আমাদের ভিডিয়োগ্রাফি করা ছিল, কাকে কাকে অনুমতি দিয়েছি, কার কাকে দিইনি।"

Sabyasachi Dutta: 'আদালতেরও বা কী ক্ষমতা রয়েছে? সবটাই আই ওয়্যাশ!', মেয়রের ভূমিকা তুলে বিস্ফোরক সব্যসাচী দত্ত
হোর্ডিং মামলায় কী বললেন সব্যসাচী দত্ত? Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 26, 2024 | 5:57 PM

কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশে বেআইনি হোর্ডিং খোলার কাজ শুরু করেছে বিধাননগর পুরসভা। এর মধ্যে ৪৮ ঘন্টা কেটে গিয়েছে। যদিও শহরের মুখ ঢেকে দেওয়া হোর্ডিং এর জঞ্জাল সাফ হয়নি। প্রাক্তন মেয়ের প্রশ্ন তুলেছেন নির্দেশ তো এল। কিন্তু সব হোর্ডিং সাফ হবে তো? মুখ খুললেন বিধাননগর পৌরনিগমের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত।

তিনি বললেন, “বাগুইআটির ওপর দিয়ে বিগ বাজারের দিকে গেলেই বোঝা যাবে,  কীরকম ঘিঞ্জি এলাকা। পুরসভাকে টাকা না দিয়ে কীভাবে বেআইনি হোর্ডিং লাগানো হয়েছে? আর সেটা রয়েছে?”

কিন্তু গোটা বিষয়টির জন্য দায় তিনি মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর ঘাড়েই ঠেললেন। তিনি বলেন, “এই দফতরটা মেয়রের। সে উত্তর মেয়রই দিতে পারবেন। এটা আমার দফতর নয়। হোর্ডিংয়ের জঞ্জাল তো রয়েছে।”

আদালতের নির্দেশ প্রসঙ্গেও সন্ধিহান তিনি। বলেন, “আদালত নির্দেশ দিয়েছে। আদালত বলছে, কিন্তু তারও কী করার ক্ষমতা রয়েছে? জানি না। কিছুই হবে না। আই ওয়্যাশ। কে কোথায় রিপোর্ট দেবে, জানি না। আমিও একসময়ে মেয়র ছিলাম, আমাদের ভিডিয়োগ্রাফি করা ছিল, কাকে কাকে অনুমতি দিয়েছি, কার কাকে দিইনি।” সাফ কথা, কাউন্সিলরের অনুমতি ছাড়া হোর্ডিং লাগানো সম্ভব নয়। টেন্ডার ছাড় কীভাবে এত হোর্ডিং হল?

সব্যসাচীর বক্তব্য, “বোর্ড হয়েছে ২০২২-এর ফেব্রুয়ারি মাসে। তারপর থেকে হোর্ডিংয়ের কোনও টেন্ডার হয়েছে বলে আমার জানা নেই। টেন্ডার না হলে কে আইনত, কে বেআইনি বলা যাবে না। উল্টোডাঙার মুখ থেকে পুরোটাই একই অবস্থা।’

তাহলে কি হবে হোর্ডিং খোলার ভবিষ্যৎ? মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী অসুস্থ। তিনি কথা বলার পরিস্থিতিতে নেই। উত্তর আসেনি তাঁর দফতর থেকেও। ফলে বেআইনি হোর্ডিং কতটা সরানো হবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আগামী ৯ জানুয়ারি পুরসভা রিপোর্ট দেবে হাইকোর্টে।

মামলার প্রেক্ষাপট

বিধাননগর-সল্টলেক চত্বর হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গিয়েছে। আর তার মধ্যে বেশিরভাগই বেআইনি। হোর্ডিং লাগানোর ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না কোনও নিয়ম। সেই নিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আইনজীবী দিবায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, নোটিস দেওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে। তার মধ্যে যাবতীয় বেআইনি হোর্ডিং সরিয়ে ফেলতে হবে।

এরপর এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে একটি হোর্ডিং সংস্থা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। সুপ্রিম কোর্টের  কাছে বেশ কিছুটা সময় চেয়েছিল হোর্ডিং সংস্থা। শীর্ষ আদালত সেই সংস্থার যুক্তি মানতে চায়নি, পুনরায় তাদের হাইকোর্টে ফেরত পাঠায়। মঙ্গলবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চ আগের নির্দেশই বহাল রাখে। ফলে বিধাননগর থেকে সমস্ত বেআইনি হোর্ডিং সরিয়ে ফেলতে হবে। বিধাননগরে এরকম প্রায় আড়াই হাজার হোর্ডিং রয়েছে। আপাতত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সেগুলিকে সরাতে হবে।