Fake Passport: ‘আমাকে গল্প কথা শোনাবেন না…’, জাল পাসপোর্ট চক্রের তদন্তে পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের
Fake Passport: তদন্তকারী অফিসারের কাছে বিচারক জানতে চান, "ভেরিফাই কি পিওনরা করেছিলেন? যদি না হয়ে থাকে তাহলে যাঁরা ভেরিফাই করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?" তদন্তকারী অফিসার উত্তরে জানান, "আমরা তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।"
কলকাতা: পাসপোর্ট জালিয়াতি মামলায় আলিপুর আদালতে বিচারকের ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ। আলিপুর আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৌভিক দে-র তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য প্রশ্ন করেন, “আমাদের পাসপোর্টের জন্য বারবার ভেরিফিকেশন হয়, আর ৭৩ জনের জন্য কিছুই হল না!” বিচারপতির মন্তব্য, “আমার মনে হচ্ছে যাঁরা ভেরিফিকেশন করলেন, সেই নিয়ে একফোঁটাও তদন্ত এগোয়নি।”
তদন্তকারী অফিসারের কাছে বিচারক জানতে চান, “ভেরিফাই কি পিওনরা করেছিলেন? যদি না হয়ে থাকে তাহলে যাঁরা ভেরিফাই করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?” তদন্তকারী অফিসার উত্তরে জানান, “আমরা তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।”
বিচারক বিরক্ত হয়ে বলেন, “আমায় গল্প কথা শোনাবেন না।” এরপরই সরকারি আইনজীবী বলেন, “এটা একটা বড় চক্র। মাথায় কারা কারা রয়েছে, সেটা আমরা দেখছি। সবার পৃথক পৃথক রোল আছে। সেগুলো দিয়েই বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়েছে।”
অভিযুক্তদের তরফে আইনজীবী কামাল হোসেন বলেন, “তাহলে নিজেদের কলিগ বলেন, যাঁরা ভেরিফাই করলেন, তাঁদের আড়াল করা হচ্ছে এটা পরিষ্কার।”
বিচারক তখন বলেন, “আমি আরেকটু সময় দিচ্ছি। হেফাজতের নির্দেশ দিচ্ছি। কী পদক্ষেপ করা হবে দেখি।”
জাল পাসপোর্ট চক্রের অন্যতম চক্রী সমরেশ বিশ্বাসকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বুধবার দত্তপুকুর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁর অন্যতম সঙ্গী মোক্তার আলমকে। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করে পুলিশ। সমরেশ ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরির চক্রের একজন অন্যতম অ্যাসোসিয়েট বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। সমরেশ ও মোক্তার একই চক্রের সদস্য হলেও মোক্তার আরও বড়মাপের চক্রী দাবি পুলিশের। দু’জনে একসঙ্গে কাজ করলেও মোক্তার নিজের মতও করে সমান্তরালভাবে এই জালিয়াতি কারবার চালাতেন বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।