কলকাতা: পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের আংটি-কাণ্ডে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠল আইজি কারা-র বিরুদ্ধে। কারা দফতরের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নয় আদালত। জেল সুপারের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছে আদালত। সুপারের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হল না কেন, তার ব্যাখ্যা চেয়েছে আদালত। আগামী ১ জুলাই সেই ব্যাখ্যা দিতে হবে আইজি কারাকে। জেলে কীভাবে আংটি পরে থাকার অনুমতি পেয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কারা দফতরকে। আর কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, সে ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল কারা দফতরের কাছে।
আজ, সোমবার বিশেষ ইডি আদালতে রিপোর্ট জমা দেন আইজি কারা। সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টে আইজি জানিয়েছেন, আংটি-কাণ্ড নিয়ে জেল সুপারকে সতর্ক করা হয়েছে। এমন ব্যবস্থায় মোটেই সন্তুষ্ট নয় আদালত। ইডি-র তরফে এদিন আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি ও আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র। ইডি-র তরফে বলা হয়, কারা দফতরের আইজি-কে শোকজ করা উচিত। আইজি কারাকে হায়দরাবাদে আইপিএস ট্রেনিং স্কুলে পাঠানো উচিত। সেই রিপোর্ট দেখার পর আইজি কারার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন বিচারক শুভেন্দু সাহা।
কী সেই আংটি-কাণ্ড?
গ্রেফতার হওয়ার পর কয়েক মাস কেটে গেলে কেন পার্থ-র হাতে আংটি? আদালতে সেই প্রশ্ন তুলেছিল ইডি। নিয়োগ মামলার শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছিল, হাতের আংটিই বলে দিচ্ছে পার্থ কতটা প্রভাবশালী। জেল কোড বা জেলের নিয়ম উল্লেখ করে আদালতে ইডি বলেছিল, কোনও অলঙ্কার পরে থাকতে পারেন না বন্দি। ধাতব কোনও আংটি, ঘড়ি এসব কিছুই পরে থাকার নিয়ম নেই। এরপরই জেল সুপারকে তলব করা হয়েছিল। তাঁর ভূমিকা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা ছিল, স্বাস্থ্যের জন্যই ওই আংটি পরেন তিনি।